খবর৭১ঃ জাতির পিতা এবং জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় স্বাধীনতা বিরোধীদের অভিযুক্ত করে বলেছেন, বাংলার মাটিতে রাজাকার, খুনি এবং তাদের দোসরদের কোনো স্থান হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজাকার, খুনি, আলবদর এবং আল শামস এবং ’৭৫’র ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বরের খুনিদের যারা দোসর, খুনিদের মদদদাতা তাদের কারোও স্থান বাংলার মাটিতে ভবিষ্যতে কোনোদিন ইনশাল্লাহ হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ রবিবার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়িস্থ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির ভাষণে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে সেভাবেই চিন্তা করতে হবে, এই দেশ যেন আবারো ঐ খুনিদের রাজত্ব না হয়। বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিধারা যেন অব্যাহত থাকে। গণতান্ত্রিক ধারা যেন অব্যাহত থাকে।’ সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশগ্রহণ করেছে, শহীদ হয়েছে, যাঁদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা, সেই স্বাধীনতা কখনও ব্যর্থ হতে পারে না। ব্যর্থ হয় নাই এবং ভবিষ্যতেও আর কেউ তা ব্যর্থ করতে পারবে না।’
চলমান সন্ত্রাস এবং দুর্নীতি ও মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় পূণর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, মাদক এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে অভিযান সেটা অব্যাহত থাকবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্মরণ সভায় প্রারম্ভিক বক্তব্য প্রদান করেন এবং স্মরণ সভাটি পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং উপপ্রচার সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম।
স্মরণ সভায় বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এবং অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও বক্তৃতা করেন।