খবর৭১ঃ মৌলভীবাজারের জুড়ীর ফুলতলা সীমান্তে বাংলাদেশি পশু চোরাকারবারীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ৬ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় ফুলতলা বিওপির সীমান্ত পিলার ১৮২৩/২৬-এস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ৫ জন পালিয়ে গেলেও বাপ্পা মিয়া (৩২) নামে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে বিজিবি।
বাপ্পা মিয়া উপজেলার পূর্ব বটুলি গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে।
এ ছাড়া বিএসএফের গুলিতে আহত আরেক চোরাকারবারী পালিয়ে গিয়ে সিলেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। তার নাম আব্দুল কালাম। সে একই এলাকার সফিক মিয়ার ছেলে।
সীমান্তে বিএসএফের গুলিবর্ষণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে বিএসএফ বরাবর প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে।
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়ন ও সীমান্তবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে ৮-১০ জনের একটি বাংলাদেশি গরু চোরাকারবারী দল ভারতীয় গরু আনতে ফুলতলা সীমান্তের পিলার নং-১৮২৩/২৬ এস এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। বিএসএফ ১৬৬ ব্যাটালিয়নের ইয়াকুব নগর ক্যাম্পের টহল দল তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে ৬ বাংলাদেশি আহত হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফিরে আসে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে বিজিবি ফুলতলা বিওপির টহল দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাপ্পা মিয়াকে আটক করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গুলিবিদ্ধ আরেক চোরাকারবারী আব্দুল কালাম পালিয়ে গিয়ে সিলেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আহত অন্যরা আত্মগোপন করে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে।
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান জানান, সীমান্তে বিএসএফের গুলিবর্ষণের ঘটনায় বিজিবি বৃহস্পতিবার বিকালে প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে। বিএসএফের গুলিতে আহত এক ব্যক্তিকে বিজিবি আটক করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছে। সে চিহ্নিত চোরাকারবারী। ঘটনাস্থলে বিজিবি পৌঁছার আগেই হয়ত আহত অন্যরা পালিয়ে গেছে।