খবর৭১ঃ খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-৩-এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. বেলায়েত হোসেন রবিবার এই চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে বলা হয়, আসামি খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ১৯৯৬ সাল থেকে ঢাকা মহানগর আওয়ামী যুবলীগে সম্পৃক্ত হন। ২০১২ সালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে এলাকায় বিশাল সন্ত্রাসীবাহিনী গড়ে তুলেন। মতিঝিল, আরামবাগ. ফকিরাপুল, শাহজাহানপুর, মুগদা, কমলাপুর, রামপুরা, সবুজবাগসহ আশপাশের এলাকায় তার সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল। সাধারণ মানুষ তার ভয়ে আতঙ্কিত ছিল।
চার্জশিটে আরো বলা হয়, আসামি দীর্ঘদিন ধরে মতিঝিল এলাকার ইয়ংমেনস ক্লাবসহ বেশ কয়েকটি ক্লাবে জুয়া, ক্যাসিনো, মাদকের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। খিলগাঁও-শাহজাহানপুর হয়ে চলাচলকারী গণপরিবহন থেকে নিয়মিত মোটা অংকের চাঁদা আদায় করতেন। প্রতি ঈদে শাহজাহানপুর কলোনি মাঠ, মেরাদিয়া এবং কমলাপুর পশুরহাট নিয়ন্ত্রণ, খিলগাঁও রেলক্রসিংয়ে প্রতি রাতে শক্তির দাপট দেখিয়ে, মাছের হাট বসিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় ছিল তার কাজ।
এসব অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য খালেদ মাহমুদ অবৈধ অস্ত্রধারী এক বিশাল বাহিনী গড়ে তোলেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।
১৮ সেপ্টেম্বর ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনোর সরঞ্জাম, মদ ও জুয়ার ২৪ লাখ টাকা উদ্ধার করে র্যাব। একই দিন খালেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর খালেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থ পাচার আইনে গুলশান থানায় তিনটি এবং মতিঝিল থানায় মাদক আইনে একটি মামলা করে র্যাব।