আলোচনায় বসতে বিসিবিতে ক্রিকেটাররা

0
491
আলোচনায় বসতে বিসিবিতে ক্রিকেটাররা

খবর৭১ঃ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির সঙ্গে আলোচনায় বসতে বিসিবিতে গেছেন আন্দোলনরত ক্রিকেটাররা। বুধবার সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর সিক্স সিজন হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের পর একে একে বিসিবিতে আসছেন ক্রিকেটাররা। সবাই এসে পৌঁছালেই আলোচনা শুরু হবে বলে জানা গেছে।

এর আগে, সোমবার ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেন ক্রিকেটাররা। পরে মঙ্গলবার তাদের দাবির বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেই ধারাবাহিকতায় বুধবার ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে ১৩ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটারদের উপস্থিতিতে তাদের দাবিগুলো সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন তাদের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান। এ দাবি সম্বলিত একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে বিসিবিকে।

এ সময় বিসিবির সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলে জানান ক্রিকেটাররা। পাশাপাশি আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা। দাবি পূরণ হলে ভারত সফরসহ সব ধরনের নিয়মিত কার্যক্রমেই অংশ নেবেন বলে জানান তারা।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনার জন্য বিসিবিতে অপেক্ষায় রয়েছেন সভাপতিসহ কর্মকর্তারা।

ক্রিকেটারদের দাবিগুলো হলো:

১. ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের বর্তমান কর্মকর্তাদের পদত্যাগ করতে হবে। আগামীতে একটি প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন গঠন করতে হবে। ক্রিকেটারদের পেশাগত স্বার্থ রক্ষায় এই সংগঠন ও এর কর্মকর্তারা কাজ করবে।

২. ঢাকা ক্রিকেট লিগগুলোকে আগের প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে নিতে হবে। প্লেয়ার ড্রাফটের মাধ্যমে লিগগুলোর ক্রিকেটারদের দল ও মূল্য নির্ধারণ করা হবে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ক্ষেত্রেও আগামী বছর একই ব্যবস্থায় ফিরে আসতে হবে।

৩. বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বিদেশি ক্রিকেটার ও বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের মধ্যকার বৈষম্য থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

৪. প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ম্যাচ ফি নূন্যতম ১ লাখ টাকা করতে হবে। একই সঙ্গে ক্রিকেটারদের বেতন বাড়াতে হবে।

৫. ১২ মাস কোচ-ফিজিও দিতে হবে, প্রতি বিভাগে অনুশীলনের ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. জাতীয় দলে চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারের সংখ্যা অন্তত ৩০ করতে হবে।

৭. দেশি সব স্টাফদের বেতন বাড়াতে হবে। কোচ থেকে শুরু করে গ্রাউন্ড স্টাফ, আম্পায়ার সবার বেতন বাড়াতে হবে।

৮. দেশিয় টুর্নামেন্ট ও ম্যাচের সংখ্যা বাড়াতে হবে।

৯. ঘরোয়া ক্যালেন্ডার চূড়ান্ত হতে হবে এবং মানতে হবে।

১০. ক্রিকেটারদের সব ধরনের পাওনাদি সময়মতো দিতে হবে।

১১. একজন দেশি ক্রিকেটার বছরে দুটোর বেশি ফ্রানচাইজে খেলতে পারবে না, এমন নিয়ম বাদ দিতে হবে। তবে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে একটি সীমা থাকতে পারে।

১২. ক্রিকেট বোর্ডের লভ্যাংশের একটি ন্যায্য অংশ ক্রিকেটারদের দিতে হবে।

১৩. দেশের নারী ক্রিকেট দলের জন্যও একই ব্যবস্থা নিতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here