খবর৭১ঃ আবরার ফাহাদ হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মেহেদী হাসান রবিন নামের আরেক আসামি। এ নিয়ে আবরার হত্যায় মোট পাঁচজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় রবিনের স্বীকারোক্তি রেকর্ড করেন। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রবিন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। আবরার হত্যার ঘটনার জের ধরে পরে তাকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
উল্লেখ্য, বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারকে গত রবিবার রাতে শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে বেধড়ক পেটান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাকে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প ও লাঠিসোটা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচণ্ড মারধর করা হয়। নির্মম পিটুনিতে আবরার মারা যান।
এ ঘটনার পর উত্তাল হয়ে ওঠে সারাদেশ। আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।