খবর৭১ঃ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে খেলোয়াড় সেজে একটি যাত্রীবাহী বাস অপহরণ করেছে রাখাইন বিদ্রোহীরা। এসময় বাসটিতে ৩১ জন যাত্রী ছিল। অপহৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই দেশটির ফায়ার সার্ভিসের কর্মচারী ও নির্মাণ শ্রমিক। মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদপত্র ‘গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার’ এ তথ্য দিয়েছে।
গ্লোবাল নিউ লাইট সূত্রে বলা হয়, ওই ৩১ জন যাত্রী বাসটিতে চড়ে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিটওয়েতে যাচ্ছিলেন। যাত্রাপথে একটি জঙ্গলের পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় হঠাৎ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ি পোশাকধারী জঙ্গল থেকে বের হয়ে আসেন। তারা বাসের চালককে বাসটি থামানোর জন্য সংকেত দেন। বাসটি থামলে তারা হুড়মুড় করে উঠে সবার দিকে বন্দুক তাক করেন।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কর্ণেল উইন যাও উ বলেন, ‘রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা হয়তো ফায়ার সার্ভিসের লোকদের সেনাবাহিনীর লোক ভেবে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।’ একইসঙ্গে অপহরণকারীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানান বার্মিজ আর্মির এই কর্মকর্তা।
আরাকান আর্মির পক্ষ থেকে অবশ্য এখনও কোন বিবৃতি দেয়া হয়নি এই অপহরণের ব্যাপারে। মিয়ানমারে দীর্ঘদীন ধরে রাখাইন বৌদ্ধদের অধিকারের জন্য লড়াই করছে বিদ্রোহী গ্রুপটি। রাখাইন বিদ্রোহীদের দমনের জন্য পুরো দেশে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে মিয়ানমার সরকার। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, বিদ্রোহীদের দমনের নামে প্রচুর নিরপরাধ নাগরিককে আটক ও নির্যাতন করছে দেশটির সেনাবাহিনী। অপরদিকে সেনাসদস্যরাও প্রায়ই বিদ্রোহীদের হামলা ও অপহরনের শিকার হয়ে থাকেন।
২০১৭ সালের আগষ্টে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে তাড়িয়ে দেবার সময় রাখাইন রাজ্যেও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।