খবর৭১ঃ কুমিল্লা সীমান্তে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে গিয়ে ভারতীয়দের হাতে আটক হওয়া র্যাবের ৩ সদস্য ও তাদের দুই নারী সোর্সসহ পাঁচজনকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। বিজিবি-বিএসএফ এর মাঝে পতাকা বৈঠক শেষে প্রায় ১০ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে আশাবাড়ি সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।
যাদের হস্তান্তর করা হয়েছে তারা হলেন- র্যাবের কনস্টেবল আবদুল মতিন, কনস্টেবল রিগেন বড়ুয়া, সৈনিক ওয়াহেদুল ইসলাম এবং দুই নারী সোর্স লিজা ও তার খালা।
র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মুহিতুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব সদস্যরা কুমিল্লা থেকে আশাবাড়ি এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিযানে যায়। এসময় মাদক চোরাকারবারীদের ধাওয়ার একপর্যায়ে র্যাবের কয়েক সদস্য অসাবধানতাবশত ভারতীয় সীমান্তের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। এতে ভারতীয় নাগরিকরা তাদেরকে আটক করে একটি পিস্তল, ৭টি বুলেট ও অন্যান্য সামগ্রীসহ বিএসএফের নিকট হস্তান্তর করে।
খবর পেয়ে কুমিল্লা থেকে র্যাব ও বিজিবির পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আটককৃতদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেন। এরপর বিকাল ৪টায় শুরু হয় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক। ওই বৈঠক শেষে বিকাল ৫টায় তাদেরকে ফেরত দেওয়া হয়। বৈঠকে ভারতের ৭৪-বিএসএফের পরিদর্শক আরজে মিঠু ও বাংলাদেশের সংকুচাইল বিওপির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নুরুল ইসলামসহ বিএসএফ-বিজিবির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সীমান্তের বিজিবির সংকুচাইল বিওপির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নুরুল ইসলাম জানান, সীমান্তের ২০৫৯ নং পিলারের সন্নিকটে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের রহিমপুর-আশাবাড়ি সীমান্ত এলাকা দিয়ে র্যাব সদস্যরা ভুলবশত ভারতে প্রবেশ করলে তাদেরকে আটক করে বিএসএফ। এরপর তাদেরকে ফেরত আনতে দিনভর বিএসএফের সঙ্গে পত্রবিনিময় করার পর বিকাল ৪টায় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক শুরু হয়। পরে বিকাল ৫টার দিকে তাদের হস্তান্তর করে বিএসএফ। এসময় র্যাব সদস্যদের অসুস্থ দেখাচ্ছিল।