খবর৭১ঃ
সরকারি কাজে বাঁধা,মারপিটসহ বিভিন্ন অভিযোগে সৈয়দপুরে স্ত্রী হত্যা চেষ্টা মামলার বাদী আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি ও তাঁর মাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় মামলা হয়েছে। এর মধ্যে এজাহারে নয়জনের নাম উল্লেখসহ ছয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের ওই নেতার নাম হিটলার চৌধুরী ভলু। তিনি আওয়ামী লীগ সৈয়দপুর পৌর শাখা ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি। আর এ মামলায় বাদী হয়েছেন সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক। গত রোববার রাতে এ মামলা দায়ের করা হয। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলো মো. ইয়াকুব (৪২), মো. কাজল (৩০), মো. বাবু (৩৫), শমশের আলী ওরফে শেরু (৪৫), মো. ইব্রাহিম (৪০). মো. আরমান (৩৭), আওয়ামী লীগ নেতা ভলুর মা ফাতেমা বেগম (৬৫) ও মো. সোহাগ সরকার। অজ্ঞাতনামা রয়েছে ছয়জন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ অক্টোবর বিকাল বেলা হত্যা চেষ্টা মামলায় পলাতক আসামী মো. রাজা (১৯) ও মো. জীবনকে (২১) নিয়ে শহরের বাংলা হাইস্কুল মাঠ সংলগ্ন লাল্লু ড্রাইভারের বাসায় মামলার বাদী হিটলার চৌধুরী ভলুসহ তার কতিপয় সহযোগীদের নিয়ে শলাপরামর্শ করছিল। এমন খবর পেয়ে পুলিশ ওই স্থানে পৌছার পূর্বে প্রধান আসামী হিটলার চৌধুরী ভলু ও তাঁর সহযোগীরা আসামীদের নিয়ে স্থান ত্যাগ করে। এরপর তারা ওই দুই আসামীকে নিয়ে মামলার বাদী হিটলার চৌধুরীর শহরের গোলাহাট এলাকার বাড়িতে নিয়ে যায়। এমন অবস্থায় রাত আটটায় মামলার বাদী উপ-পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক হিটলার চৌধুরী ভলুর বাসায় সঙ্গীয় ফোর্সসহ যান। এ সময় মামলার বাদীকে পুলিশ কর্মকর্তারা আসামীদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করতে হিটলার চৌধুরী ভলুসহ তার অনুসারীদের অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা আসামীদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করতে রাজি হচ্ছিল না। পরে থানায় এ খবর পৌছামাত্র পুলিশের ফোর্স ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আসামী উদ্ধারে।
কিন্তু এ সময় আসামী পুলিশের হাতে সোপর্দ করা তো দূরের কথা উল্লেখিত ব্যক্তিরা পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং আসামীদের নিয়ে হিটলার চৌধুরী ভলু সটকে পড়ে। পরদিন ৬ অক্টোবর নয়জনের নাম উল্লেখ করে ছয়জন অজ্ঞাতনামা আসামীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়। মামলায় বেআইনী জনতার সমাবেশ, মারপিট ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানতে চাইলে, সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশা মামলা দায়ের করার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে হিটলার চৌধুরী ভলুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ বানোয়াট ও মিথ্যা।এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে থানায় মামলা করা হয়েছে।