খবর৭১ঃ
কদিন আগে জালাল ইউনুস বলেছিলেন, ‘নির্ধারিত তারিখে (বিপিএল) শুরু হবে কিনা আমারও সন্দেহ আছে!’ বিপিএল নিয়ে বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধানের সংশয় থাকলেও আজ তিনি বেশ আত্মবিশ্বাসী। দুপুরে সাংবাদিকদের বললেন, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই (নির্ধারিত সময়ে হবে)। আগেই বলেছিলাম ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে, এখনো সেটাই আছে।’
এবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে পৃষ্ঠপোষক নিয়ে বিশেষ বিপিএল আয়োজন করবে বিসিবি। প্রতিটি দলের মালিক যেহেতু বোর্ড, নতুন এই ধাঁচে আয়োজন করার প্রস্তুতিও কম নয়। মাত্র দুই মাসে এত বড় আয়োজনের প্রস্তুতি শেষ করা সম্ভব? প্রশ্নটা উঠেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ দুই সদস্য একবারেই নীরব হয়ে যাওয়ায়। বিশেষ করে বিসিবির প্রভাবশালী পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিকের নিষ্প্রভ হয়ে যাওয়াটাই বিপিএল নিয়ে বেশি সংশয় তৈরি করেছে। এক সপ্তাহের বেশি তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তিনি কোথায় আছেন সেটিও বলতে পারছিলেন না বোর্ডের দায়িত্বশীল কেউ।
তবে জানা গেছে ইসমাইল হায়দার এই মুহূর্তে ভারতের বেঙ্গালুরুতে আছেন। আজ বিকেলে সেখান থেকেই তিনি জানালেন, বিপিএল ঠিক সময়ে আয়োজন করা হবে, ‘এখনো পর্যন্ত ৬ ডিসেম্বরই থাকছে (বিপিএল শুরু হওয়ার তারিখ)। সোহেল ভাইও (শেখ সোহেল, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান) দেশে নেই। তিনি এলে আমরা বসব। তবে কাজ কিন্তু হচ্ছে। আকরাম ভাই কাজ করছেন। আর এবার বিপিএলের বিষয়টি বোর্ড সভাপতি নিজেই দেখছেন। নির্ধারিত সময়েই টুর্নামেন্ট হয়ে যাবে আশা করি।’
আগামী শুক্রবার কিংবা শনিবার ইসমাইল হায়দারের দেশে ফেরার কথা। শেখ সোহেলও যদি এর মধ্যে চলে আসেন, আগামী সপ্তাহে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে নিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান হয়তো বসবেন।
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে যেহেতু বাদ দিয়েছে বিসিবি, এরই মধ্যে তাদের সঙ্গে চুক্তি হওয়া বিদেশি ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎ তাহলে কী? জালাল ইউনুস বলছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ বিদেশি ক্রিকেটাররা যদি খেলতে চান তাঁদের সুযোগ উন্মুক্তই থাকছে, ‘ফরম্যাট আগে যেমন ছিল প্রায় একই থাকবে। একাদশে যে চার বিদেশি খেলোয়াড় খেলার নিয়ম ছিল, সেটাই থাকছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো আগে কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে যদি চুক্তি করে থাকে, আর তারা যদি ফ্রি থাকে, তাহলে আমরা তাদের প্রস্তাব দিতে পারি যে তারা খেলবে কিনা।’