খবর৭১ঃ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে (২১) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আজ সোমবার সকালে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের নিচতলা থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সকালে এ ঘটনায় আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চকবাজার থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আটক দুজন হলেন ফুয়াদ ও রাসেল। তাঁরা দুজনই বুয়েটের শিক্ষার্থী। শের–ই–বাংলা হলে থাকেন।
চক বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফুয়াদ ও রাসেল নামে দুজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তাঁরা দুজনই বুয়েটের শিক্ষার্থী, শের–ই–বাংলা হলে থাকেন।
পুলিশ ও আবরারের সহপাঠী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে হলের কক্ষে ছিলেন আবরার। হল থেকে তাঁকে রাতে কোনো একসময় বাইরে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর কে বা কারা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। সহপাঠীরা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আবরার সক্রিয় ছিলেন। লেখালেখি করতেন। এ কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তাঁরা।
পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘আবরারের পায়ে ও ঊরুতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আঘাতজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। আমরা সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছি। কারণ বুয়েট একটি সম্মানজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আমরা তদন্ত করছি।’
চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাত পৌনে ৩টার দিকে তাঁরা খবর পান শের-ই–বাংলা হলের বাইরে নিচতলায় একটি ছেলে পড়ে আছে। হল কর্তৃপক্ষই পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে যান তাঁরা। ছেলেটির পরনে ছিল ট্রাউজার ও শার্ট। কোনো কিছু দিয়ে বাড়ি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। লাশের ময়নাতদন্ত হবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শের-ই–বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে।