খবর৭১ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতির কারণে সমাজে বৈষম্যের সৃষ্টি হচ্ছে। শিশু থেকে শুরু করে সমাজে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এর ফলে সমাজে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদের দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতি রোধের মাধ্যমে সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা প্রথমে জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযান শুরু করেছিলাম। সেখানে আমরা যথেষ্ট সফলতা অর্জন করেছি। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। এবার আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করলাম।
রোববার বাংলাদেশ সময় রাত প্রায় সাড়ে তিনটার দিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। সম্মেলনের শুরুতেই লিখিত বক্তব্য পড়া শুরু করেন।
বক্তব্য শেষ করার আগেই তিনি সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্বে চলে যান। এসময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিক ও প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১/১১ এর যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। এসব অনিয়ম শুরু হয়েছে বহু আগে। জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে তারাই দুর্নীতি প্রশ্রয় দিয়েছে, পৃষ্ঠপোষকতা করেছে।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। দুর্নীতির কারণে সেটা নষ্ট হতে দেয়া যায় না। প্রকল্পের প্রতিটি পয়সা যাতে যথাযথভাবে ব্যয় হয় সেই পদক্ষেপও নেয়া হবে।
প্রবাসীদের জন্য নতুন কী নীতিমালা নেয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধনমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বেশি খুশি হওয়ার বিষয় হল, প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠালে আমরা ২ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছি। তারা যাতে সহজে রেমিটেন্স পাঠাতে পারে, কোনো রকম অসুবিধা না হয় সে ব্যবস্থা নিয়েছি।
আরেকটা হচ্ছে বিমান- অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিল তখন বিমানের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। ইতিমধ্যে প্রায় ১০টি উড়োজাহাজ আমরা ক্রয় করেছি। এবার নিউইয়র্কে সরাসরি বিমান চলাচলের প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
এ ব্যাপারে আইন ও নিরাপত্তা বিষয়েও ব্যবস্থা নিয়েছি। এছাড়া দেশে আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করছি। সেখানেও প্রবাসীরা যাতে বিনিয়োগ করতে পারে সেই ব্যবস্থা নিয়েছি।