খবর৭১ঃ মা-বাবা সব সময় নবজাতক সন্তানকে নিয়ে চিন্তায় থাকেন। আর তা যদি হয় প্রথম সন্তান তবে তো কথাই নেই। নবজাতক সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান খুবই জরুরি।
জন্মের পরে প্রথম ছয় মাস শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। প্রথম ৬ মাস মায়ের বুকের দুধ ছাড়া শিশুকে অন্যকিছু খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই। এ সময়ে মায়ের দুধ শিশুর সব চাহিদা পূরণ করে।
মায়ের বুকের দুধ শিশুদের জন্য খুবই উপকারি। বুকের দুধ শিশুর বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে।
বুকের দুধের উপকারিতা:
বুকের দুধ স্বল্প মেয়াদে শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে এমন অনেক তথ্য উপাত্ত রয়েছে।
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশুরা বুকের দুধ খায় তারা বিশেষ করে অ্যালার্জি, পেটের সমস্যা এবং কানে সংক্রমণের মতো সমস্যায় কম পড়ে।
কিন্তু বুকের দুধের দীর্ঘমেয়াদী উপকারিতা সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য গবেষকদের কাছে নেই। যদি কোনো শিশুকে ছোটবেলা থেকে বুকের দুধ দেয়া তবে সে স্থূল হবে না, কিংবা তাদের ডায়াবেটিস বা ক্যান্সারের ঝুঁকি কম হবে এমন কোনো উপকারিতার কথা শোনা যায়নি।
তবে, সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ালে মায়ের কিছু ধরনের ব্রেস্ট ক্যান্সার হবার ঝুঁকি ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
ফুসফুসকে শক্তিশালী
মায়ের দুধ সরাসরি পান করার মধ্য দিয়ে শিশুর ফুসফুসও শক্তিশালী হয়৷
বুকের দুধে সব পুষ্টিগুণই থাকে
মায়ের বুকের দুধে নবজাতক শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় সব পুষ্টিগুণই থাকে, যাতে একটি শিশু সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে৷ এ কথা জানা যায় সাম্প্রতিক একটি গবেষণা থেকে৷
অ্যাজমার ঝুঁকি কমায়
মায়ের দুধ পান করলে শিশুর অ্যাজমার ঝুঁকি কমে শতকরা ৪০ ভাগ – এই তথ্যটি জানা যায় ক্যানাডিয়ান একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রতি গবেষণা থেকে৷ বলা বাহুল্য, জার্মানিতে শিশুরা যে রোগগুলোতে সবচেয়ে বেশি ভোগে তা হলো অ্যাজমা বা হাঁপানি৷
প্রতি ফোঁটা দুধই শিশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ
একটি শিশু প্রতি মাসে যত দিন যতটুকু দুধই পান করুক না কেন, তার প্রতি ফোঁটাই অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগপ্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।