খবর৭১ঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ৮ বছরের কন্যা শিশু মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টা ও তা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত কালুপুর দারুল উলুম মাদরাসার শিক্ষক মো. হোসাইন (২৮) শিবগঞ্জ উপজেলার দুলর্ভপুর ইউনিয়নের কালুপুর গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে। সহায়তাকারী মাদরাসা পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম অভিযুক্তের বড় ভাই ও একটি হজ কাফেলার মালিক।
জানা যায়, গত ২১ সেপ্টেম্বর সকালে মাদরাসা চলাকালীন সময়ে শিশুটি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন শিশুর পিতা। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক ও তার বড় ভাইকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করেছে।
শিবগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্র ও শিশুটির পিতা জানান, তার ৮ বছরের শিশুকন্যাকে দারুল উলুম মাদরাসা ভর্তির পর থেকেই ওই মাদরাসার শিক্ষক মো. হোসাইন প্রায়ই মেয়েকে বাজে ভাবে স্পর্শ করতো। এতে মেয়ে প্রায়ই মাদরাসায় যেতে আপত্তি করতো। কিন্তু বিষয়টি আমরা বুঝতে পারিনি।
গত ২১ সেপ্টেম্বর একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়ের চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।এ সময় মাদরাসার পাশেই অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ি হওয়ায় তার বড় ভাই শরিফুল ইসলাম বিষয়টি মীমাংসা করার কথা বলে তার সন্তানকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
পরে বিষয়টি তার মেয়ের কাছ থেকে জেনে এ ঘটনার বিচার চাইতে গেলে তাদের থানায় মামলা দায়ের না করা ও টাকার বিনিময়ে মীমাংসার জন্য চাপ দেয়।
এদিকে বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে শিশুটির পিতা তার পরিবার নিয়ে শিশুটির নানীর বাড়ি চলে যায়। সেখানেও অভিযুক্তের ভাই শরিফুল গিয়ে মীমাংসার জন্য চাপ দেয়।বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ সোমবার রাতে প্রথমে অভিযুক্তর ভাইকে ও পরে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে নিয়ে আসে।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে শিশুটির সহপাঠীরা বিচার দাবি করেছে এবং মাদরাসায় যেতে ভয় পাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি করে জানান, সন্তান তুল্য শিশুদের সঙ্গে শিক্ষকরা এ ধরনের আচরণ করলে তারা সন্তানদের মাদরাসায় কিভাবে পাঠাবেন!
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন জানান, বিষয়টি তাদের নজরে আসার পর পুলিশ ভুক্তভোগী পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। মামলা দায়ের হয়েছে এবং পুলিশ এ মামলার সকল আাসামিকেই গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে।