খবর৭১ঃ কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। দীর্ঘ ২১ বছর পর সেন্টমার্টিনে নতুন করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি মোতায়েন এবং অস্থায়ীভাবে বিওপি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। মঙ্গলবার এ উপলক্ষ্যে সেন্টমার্টিনে বিওপি পরিদর্শন করেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। এর আগে, দ্বীপটিতে সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল তৎকালীন বিডিআর। কিন্তু সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্বে কোস্টগার্ড নিয়োজিত করা হলে বিজিবি সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়।
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের একটি অংশ। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে সেন্টমার্টিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। সেজন্য এখানে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তবে দ্বীপে যে জনবল রয়েছে তা সীমান্তের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট। সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি মাদক ও মানব পাচার রোধসহ অপরাধ দমনেও সফলতা আনবে বিজিবি।’
এর আগে, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় বিশেষ হেলিকপ্টার যোগে তিনি সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবতরণ করেন। এরপর সরাসরি সেন্টমার্টিনে বিজিবির অস্থায়ী বিওপি পরিদর্শন করেন। পরে বিওপির স্থায়ী কার্যালয় নির্মাণের জন্য তিনি নির্বাচিত জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখেন। এসময় বিজিবির উর্ধতন কর্মকর্তাদের নতুন স্থাপনা নির্মাণ সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। এরপর বেলা আড়াইটার দিকে হেলিকপ্টারে করে দ্বীপ ত্যাগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের অক্টোবরের দিকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে মিয়ানমার। মিয়ানমার সরকারের জনসংখ্যা বিষয়ক বিভাগের ওয়েবসাইট সম্প্রতি তাদের দেশের যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে সেন্টমার্টিনকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দেখানো হয়। গত ৬ অক্টোবর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত উ লুইন ওকে তলব করে এর প্রতিবাদ জানায়। এরপর মিয়ানমারের মানচিত্র পরিবর্তন করা হয়।