খবর৭১ঃ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত পুরোপুরি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। গত কয়েকদিনের অভিযানে তা প্রমাণিত। কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসছে। সরকার এর দায় এড়াতে এখন বিএনপিকে জড়াচ্ছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে নবনির্বাচিত ছাত্রদলের নেতাদের নিয়ে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েছে। তাদের একেবারে উচ্চপর্যায় থেকে তৃণমূলের কর্মী পর্যন্ত দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। তারই কিছু প্রমাণ সবাই গত কয়েকদিন ধরে দেখছেন। ঢাকা মহানগর থেকে শুরু করে যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পর্যন্ত সবখানেই তারা আজকে যে ভয়াবহ আকারে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েছে, এটা দেশের জন্য, জনগণের জন্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
জুয়ার আখড়ায় সম্পৃক্তদের আগে বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদলে যুক্ত থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে, যা বলছেন আওয়ামী লীগের নেতারাও। এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ ধরনের কথাবার্তা বলে তো লাভ নেই। দেশের মানুষ বুঝে। এটা তারা এড়িয়ে যেতে চান। আপনারা দেখছেন, ধর্মের কল বাতাসে নড়তে শুরু করেছে।
ক্যাসিনো ব্যবসা বিএনপির আমলেই শুরু হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল বলেন, উনাকে জিজ্ঞেস করেন তো এটা (ক্যাসিনো) পত্র-পত্রিকায় কখন সামনে এসেছে? বিএনপির আমলে তো কখনও মিডিয়াতে আসেনি। আজকে পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশনে যেভাবে এসেছে। এতে প্রমাণিত হয়ে গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার শুধু দুর্নীতি নয়, তারা বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক কাঠামো, সামাজিক কাঠামো ভেঙে ফেলছে এবং এদেশকে সত্যিকার অর্থে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
ছাত্রদলের কাউন্সিলের অর্জন কী- প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা নিজেরাই দেখলেন, সরকারের সমস্ত ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ভেদ করে, আদালতকে তারা (সরকার) ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে; অত্যন্ত সফলভাবে ছাত্রদলের কাউন্সিল হয়েছে। নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে এই কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে।
ছাত্রদলের নবনির্বাচিত দুই নেতাসহ সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের জিয়ার কবরের সামনে আন্দোলনের শপথ করান ফখরুল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ছাত্রদলের সাবেক নেতা আবুল খায়ের বাবলু, আসাদুজ্জামান রিপন, ফজুলুর রহমান মিলন, খায়রুল কবির খোকন, শহিদউদ্দিন চৌধুরী অ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আজিজুল বারী হেলাল, সাইফুল আলম নিরব, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আবদুল আউয়াল খান, হাবিবুর রশীদ হাবিব, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান, ইয়াসীন আলী প্রমুখ।