খবর৭১ঃ
সাত দেহরক্ষীসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে আটক করেছে র্যাব। এসময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, মাদক, নগদ ১০ কোটি টাকা ও প্রায় ২শ কোটি টাকার এফডিআর চেক উদ্ধার করে র্যাব। শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে রাজধানীর নিকেতন থেকে এক অভিযানের মাধ্যমে তাকে আটক করে র্যাব।
আটকের পর চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিসহ নানা কুকর্মের আমলনামা বের হতে থাকে। র্যাবের অভিযানের সময় কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিক দেখে হতভম্ব হয়ে যান শামীম।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে ছবি তুইলেন না, আমাকে বেইজ্জতি কইরেন না। আমার একটা সম্মান আছে। এখানে যা হচ্ছে, আপনারা দেখছেন। কিন্তু আমাকেও আত্মপক্ষ সমর্থন করতে দিতে হবে। প্লিজ ছবি তুলবেন না।’
পরে র্যাবের এক কর্মকর্তা শামীমকে বলেন, ‘আপনি আমাদের সহযোগিতা করেন। আমাদের সহযোগিতার জন্য ও অভিযানের সচ্ছতার জন্য মিডিয়া আমাদের সহযোগিতা করছে।’
অভিযানের সময় ক্যামেরা থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন শামীম। কখনও দাঁড়িয়ে, চেয়ারে বসে, হাত দিয়ে মুখ ঢাকছিলেন তিনি। আবার এটা-ওটা খোঁজার জন্য দীর্ঘক্ষণ টেবিলের নিচে মাথা ঢুকিয়েও রাখেন শামীম।
আটক শামীম নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সন্মানদী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত মো. আফসার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। শামীম রাজধানীর প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবেই পরিচিত।
শামীম এক সময় ছিলেন বিএনপির ঢাকা মহানগর যুবদলের সহ-সম্পাদক। পরে দল বদলে যোগ দেন আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগে। সেই জি কে শামীম এখন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক।
ধীরে ধীরে দলের পদ বাগিয়ে হয়ে ওঠেন প্রভাবশালী নেতা, বাগাতে থাকেন সরকারি টেন্ডার। প্রতিটি সরকারি কাজের টেন্ডার ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। এ কারণেই এক সময় তিনি ‘টেন্ডার শামীম’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সব সময় তার সঙ্গে রাখতেন ছয়জন অস্ত্রধারী দেহরক্ষী।