মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জে নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া বাজার থেকে বিপুল পরিমাণ অতিথি পাখিসহ ৫ পাখি শিকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যানপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র্যা ব-৯। বুধবার বিকেল ৫টায় র্যা ব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুাপার কামরুজ্জামান এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজেষ্ট্রেট তৌহিদ-বিন-হাসান হাসান আটককৃতদের প্রত্যেককে ৪ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।দন্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার বুড়িনাও গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে আয়াত মিয়া, উত্তর দেবপাড়া গ্রামের আব্দুল মালিক এর ছেলে নুর উদ্দিন, পূর্ব দেবপাড়া গ্রামের আছিম উল্লার ছেলে দেলোয়ার হোসেন, সামছু মিয়ার ছেলে রিফাত আহমেদ ও মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে ছায়েদ মিয়া।র্যা ব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ৫ শিকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় বক, বালি হাঁস, ওয়াকসহ বিপুল পরিমাণ অতিথি পাখি উদ্ধার করা হয়। এগুলো পরে অবমুক্ত করা হয়। তিনি আরও জানান, পাখি শিকারীরা হাওর থেকে এ সকল অতিথি পাখি শিকার করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নিয়ে আসে। তারপর বিভিন্ন গাড়ী থামিয়ে ক্রেতারা এই পাখি কিনে নিয়ে যায়। হাওর এলাকায় অনেক শিকারী এই কাজে জড়িত আছে বলে আটকৃকৃতরা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।প্রসঙ্গত, হবিগঞ্জে অবাধে চলে আসছে পাখি শিকার।
হবিগঞ্জের সদর, শায়েস্তাগঞ্জ, বাহুবল, বানিয়াচং, নবীগঞ্জ ও মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন জলাশয় এবং হাওরে শিকারীরা এসকল পাখি শিকার করে প্রকাশ্যে বিক্রি করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। হাওরে জাল দিয়ে ফাঁদ পেতে বক, শালিকসহ বিভিন্ন ধরনের অতিথি পাখি শিকার করে শিকারীরা। বিভিন্ন ব্যক্তির আগাম টাকা নিয়ে পাখি সরবরাহ করে থাকে ঐ চক্র। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পাখি বিক্রি করে তারা। পাখি শিকার এবং বিক্রিকে স্বাভাবিক ব্যাপার বলে মনে করে তারা।স্থানীয়দের অভিযোগ, পাখি শিকার আইনত অপরাধ, কিন্তু মানছে না শিকারিরা। পাখি শিকার করে বিক্রি করছেন, টাকা কামাচ্ছেন। এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। এদিকে এই মৌসুমে স্থানীয় পাখি শিকার বেশী হলেও শীতের সময় হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বক ও পেরি হাঁস, শালিকসহ নানান জাতের অতিথি পাখি শিকার করে তারা