তিশা সেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত: এশিয়ার দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতির তালিকায়, বাংলাদেশ অনেক দেশকে পিছে ফেলে ইতিহাস সৃষ্টি করছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক বিনিয়োগকারীদের জন্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
দুবাইয়ে আয়োজিত বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের দ্বিতীয় সংস্করণ শেষে আয়োজকরা জানান, আমিরাত সরকারের এই বিপুল বিনিয়োগ ছাড়াও, সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীরা অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত ২৫ টিরও বেশি প্রকল্পের প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা (বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ), সালমান ফজলুর রহমান বিপুল সংখ্যক ব্যবসায়ীদের সাথে সাক্ষাত করেছেন, যারা বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের প্রবাহকে ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ ১০০ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২৮ টি হাই-টেক পার্ক তৈরী করছে।
সালমান ফজলুর রহমান জানান, যে আমিরাতে বসবাসরত বিনিয়োগকারিরা, বাংলাদেশে বিনিয়োগে ইচ্ছুক, আর এখন বিনিয়োগকারীদের জন্যে সঠিক সময়।
উনি আরো জানান, জিসিসি দেশগুলির বিশেষত সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের স্বল্প ব্যয় উচ্চতর আয়ের সুবিধা গ্রহণ করা উচিত। জিসিসি এবং আরব বিশ্ব থেকে বিনিয়োগ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে উচ্চতর বৃদ্ধির হার অর্জনে সহায়তা করবে এবং আমরা তাদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুতের চেয়েও বেশি প্রস্তুত।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতিতে বাংলাদেশিরা প্রধান বিনিয়োগকারী, যেখানে ৫০,০০০ এরও বেশি ব্যবসায় বাংলাদেশী মালিকানা রয়েছে এবং তারা সম্মিলিতভাবে ১ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি লোককে নিয়োগ দেয়।
বিশ্বব্যাংক অনুমান করে যে ২০২০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ গ্রিড, রাস্তাঘাট এবং জলের সরবরাহকে তার ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পরিমানের মান পর্যন্ত আনতে বাংলাদেশকে বছরে সাড়ে সাত বিলিয়ন থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হবে।