ইরানের মাটিতে চীনের সেনা ২৫ বছর অবস্থান করবে। এরইমধ্যে ৫০০০ সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। দেশ দু’টির মধ্যে সম্পাদিত এক অর্থনৈতিক চুক্তির আওতায় শিগগিরই এ সেনা মোতায়েন করা হবে। পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘ন্যাশান’সোমবার যুক্তরাজ্যের ‘পেট্রোলিয়াম ইকোনোমিস্ট’র বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে।
তবে ইতিমধ্যে ইরানের মাটিতে চীনা সেনারা পৌঁছেছে বলে একই সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে জিও টিভি।
খবরে বলা হয়েছে, গেল আগস্ট মাসে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাফির যাওয়াদের বেইজিং সফরে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
চায়না-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণের জন্য চীন যে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছে, ইরানের সঙ্গে এ চুক্তি তারই অংশ। চুক্তি অনুযায়ী চীন ইরানে ২৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে। পেট্রোলিয়াম ইকোনোমিস্ট বলছে, ইরানে চীন যে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে, সেই বিনিয়োগের নিরাপত্তার জন্য চীন তেহরানে এ সেনা মোতায়েন করবে।
এর আগে গেল সপ্তাহে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, চীন ইরানে ৪০ হাজার কোটি ডলার বা প্রায় ৩২ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে চীন। দেশ দু’টির মধ্যে ২০১৬ সালে সম্পাদিত এক চুক্তি হালনাগাদ করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।২০১৬ সালে তেহরান ও বেইজিং এর মধ্যে ২৫ বছরের এক বিনিয়োগ চুক্তি সম্পাদিত হয়।
ওই চুক্তিতে উল্লেখিত বিনিয়োগের পরিমাণের চেয়ে বেশি বিনিয়োগ করতে চায় চীন। ফলে চুক্তি হালনাগাদ করা হয়।
পেট্রোলিয়াম ইকোনোমিস্টের বরাত দিয়ে ইরানি সংবাদমাধ্যম আইআরআইয়ের খবরে বলা হয়ছিল, গত মাসের শেষদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ চীন সফর করেন এবং তখন এ চুক্তি হালনাগাদ করা হয়। এ সময় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই ইরান ও চীনকে ‘কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার’ বলে অভিহিত করেছিলেন।