হবিগঞ্জ সদর রাজিউড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকে দুর্নীতির অভিযোগ

0
882
হবিগঞ্জ সদর রাজিউড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকে দুর্নীতির অভিযোগ
হবিগঞ্জ সদর রাজিউড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল আহমেদ শেখ কামাল। ছবিঃ মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।

খবর৭১ঃ

মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ সদর রাজিউড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল আহমেদ শেখ কামাল এর বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পের কাজ না করে, ভূয়া প্রকল্পের নামে এবং একই এলাকাকে ভিন্ন নামে একাধিক প্রকল্প গ্রহণ সহ বিভিন্ন পন্থায় আত্মসাতের অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযোগটি দায়ের করেন।একই ইউনিয়নের গদাইনগর গ্রামের সামছু মিয়ার পুত্র মোঃ মখলিছ মিয়া অভিযোগে উল্লেখ করেন, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে হুরগাও গ্রামের লতিফের বিছরার কোণা থেকে পশ্চিম জামে মসজিদের হাইরা কোণা পর্যন্ত ড্রেইন নির্মাণের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। এদিকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে একই স্থানের নাম পরিবর্তন করে মুশাহিদ মিয়ার বাড়ি থেকে খেলু মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত প্রকল্প নাম দিয়ে দাখিল করলে উপজেলা পরিষদ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়।

কিন্তু বাস্তবে দুটি প্রকল্পের কোন কাজ না করেই চেয়ারম্যান কামাল দুটি প্রকল্পের পুরো ৪ লাখ আত্মসাত করেন।২০১৬-১৭ অর্থ বছরে সাধুর বাজার গ্রোথ সেন্টার অফিসের দরজা, জানালা, বাথরুম ও ট্যাংকি মেরামতের জন্য ভূমি হস্তান্তর কর ১% থেকে প্রাপ্ত ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ গ্রহণ করা হয়। এদিকে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে উপজেলা পরিষদ থেকে সাধুর বাজার গ্রোথ সেন্টারের উন্নয়নে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। এ দু’টি প্রকল্পেরও কোন কাজ না করে চেয়ারম্যান শেখ কামাল পুরো ২ লাখ টাকা আত্মসাত করেন।হুরগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বিগত পরিষদের সময় একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ওই কালভার্টটিকে দিয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে সোয়া ১ লাখ টাকা বরাদ্ধ গ্রহন করে টাকা আত্মসাত করেন চেয়ারম্যান।২০১৬-১৭ অর্থ বছরে হুরগাও ওমর আলী মাদ্রাসার পশ্চিম পাশে কালভার্ট নির্মানের নামে ৪০ হাজার টাকা, হুরগাও পতিতের সামনে কালভার্ট নির্মানের নামে ৪০ হাজার টাকা, চেয়ারম্যানের বাড়ির পূর্ব দিকে কালভার্ট নির্মানের নামে ৩০ হাজার টাকা এবং হুছন আলীর বাড়ির সামনে কালভার্ট নির্মানের নামে ৪০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়।

মুলত প্রকল্পভূক্ত ৪টি কালভার্ট একই স্থানে অবস্থিত। আর ১টি কালভার্ট নির্মাণ করে বাকী ৩টি কালভার্টের বরাদ্ধের টাকা চেয়ারম্যান শেখ কামাল আত্মসাত করেন। একই স্থানে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে চেয়ারম্যান সাহেবের বাড়ির বাংলা ঘরের পাশে কালভার্ট নির্মানের ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয় ১% ভূমি হস্তান্তর কর থেকে। মুলত কালভার্টের অস্থিস্ত নেই।পশ্চিম গদাইনগর গ্রামের হাজী জহুরুল ইসলামের বাড়ির সামনের রাস্তা পাকা করণের জন্য ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে এডিপি থেকে ১ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। একই স্থানের নাম পরিবর্তন করে এলজিইডি রাস্তা থেকে তাজুল ইসলামের বাড়ি পর্যন্ত পাকা করণের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ১% ভূমি হস্তান্তর কর থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্ধ গ্রহণ করা হয়। মুলত হাজী জহুরুল ইসরামের বড় ভাই হচ্ছেন তাজুল ইসলাম। একই স্থানকে ভিন্ন নামে প্রকল্প গ্রহণ করে ১টি প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করা হয়েছে।এছাড়া হুরগাও থেকে রাজিউড়া রাস্তায় বৃক্ষ রোপনের নামে ৬০ হাজার টাকা, ইউনিয়নের বিভিন্ন রিং পাইপ ও স্যানিটারী স্ল্যাব সরবরাহে ২ লাখ টাকা চেয়ারম্যান শেখ কামাল আত্মসাত করেছেন। এদিকে ভিজিটি কার্ডের ৩০ কেজি করে চাল ২/৩ মাস পর পর ১ মাসে বিতরণ করে কৌশলে অবশিষ্ট চাল আত্মসাত করা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here