খবর৭১ঃ
বিশ্বকাপের শেষটা ভালো হয়নি বাংলাদেশ দলের। শ্রীলংকা সিরিজ গেছে ভুলে যাওয়ার মতো। বাংলাদেশ ‘এ’ দল আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ভালো করেনি। সব মিলিয়ে কিছুদিন বাংলাদেশ ক্রিকেট অঙ্গনে তেমন ভালো খবর নেই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামের টেস্টটা তাই জেতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হবে দু’দল।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান বলেন, সামগ্রিক বিবেচনায় বাংলাদেশ ক্রিকেটে শেষ কিছুদিন ভালো সময় কাটেনি। কেবল অনূর্ধ্ব-১৯ দল ইংল্যান্ডে ফাইনাল (ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ) খেলেছে। সেদিক থেকে দেখলে আমাদের জন্য আফগানিস্তান ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচটা ভালোভাবে জিততে পারলে অনেক কিছুই আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।’
টেস্টের নবীন সদস্য আফগানিস্তান। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় টেস্টে খেলতে নামছে তারা। অভিজ্ঞতা-র্যাংকিং বিবেচনায় বাংলাদেশ তাদের চেয়ে এগিয়ে। ভক্তরা তাই আফগানদের বিপক্ষে অন্তত টেস্টে বড় জয় প্রত্যাশা করবে। কিন্তু সাকিবকে র্যাংকিং, বড় জয় কিংবা আফগানদের সহজে হারালেও প্রশংসা পাওয়া যাবে না; এই ব্যাপারগুলো ভাবাচ্ছে না।
টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক সাকিব বলেন, ‘জয়টাই গুরুত্বপূর্ণ। ভালো আর খারাপভাবে জয় বলে কিছু নেই। এক রানে জিতলেও সেটি জয়, একশ’ রানে জিতলেও জয়। এক উইকেট হোক বা ১০ উইকেট, আমার কাছে জয় জয়ই। জেতাটাই গুরুত্বপূর্ণ। ভক্তরা যেভাবেই দেখুক, আমরা জানি এটা আমাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। প্রত্যেকটা ম্যাচ জিততে হলে কতটা পারফরম্যান্স করতে হয়, প্ররিশ্রম করতে হয় সেটা আমরা জানি। মানুষ প্রশংসা করল কি-না সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। ভালো খেললে আমরা নিজেরাই নিজেদের প্রশংসা করি।’
টেস্টে প্রতিটি সেশন পরিকল্পনা করে খেলা, মনোযোগ ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের পরিকল্পনার বড় জায়গাজুড়েই থাকবে স্পিন দিয়ে আফগানদের কাত করা। আবার ব্যাটসম্যানদের আফগান স্পিন ভালো মতো সামলাতে হবে। যদিও সাকিব ম্যাচের আগের দিন নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে মুখ খুললেন না। তবে স্পিন দিয়েই যে আফগান বধ করতে চান সেই ইঙ্গিত দিলেন। জানিয়ে দিলেন, স্পিনার বেশি নিয়ে খেলায় কে কী বলল তা নিয়ে মোটেও মাথাব্যথা নেই তার।
টেস্টে অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে দুই থেকে তিনে নেমে যাওয়া সাকিব বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এগুলো পাত্তা দেই না। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ায় চার সিমার খেলে, কোনো স্পিনারই হয়তো খেলে না। সেগুলো নিয়ে তো আমরা সমালোচনা করি না। আমার কাছে এগুলো চিন্তা করার মতো কিছু না। এগুলো নিয়ে আমি ভাবিই না। আমাদের লক্ষ্য ম্যাচটি জেতা। যদি দুজন সিমার বা তিন সিমার নিয়ে খেলতে হয়, খেলব। এক সিমার নিয়ে খেলতে হলে খেলব। আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করব।’