খবর৭১ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল সংসদ ও হল ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে ২১ লাখ টাকা নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শ্রবণা শফিক দীপ্তি, সায়েদা আফরিন শাফি, জয়ন্তী রেজা এই অভিযোগ উত্থাপন করেন। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, হল সংসদের ভিপি ইসরাত জাহান তন্বী হলের কর্মচারী কামাল উদ্দিনের ছেলে কামরুজ্জামানকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আট লাখ, জি এস সায়মা আক্তার প্রমি হলের মালী বাবুল চৌহানের ছেলে পলাশ চৌহানকে বাগান মালী পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য পাঁচ লাখ, রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বি এম লিপি আক্তার এবং সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী দিশা সমন্বিতভাবে আলমগীর নামের একজনকে প্রহরী পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আট লাখ টাকার লেনদেন করেন।
এ বিষয়ে হল সংসদের ভিপি-জিএসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করেন তারা। এদিকে বি এম লিপি আখতার বলেন, ‘দীপ্তি সব সময় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কথা বলে এটা সবাই জানে। সে আমার বিরুদ্ধে, আমার হলের সাধারণ সম্পাদক, হল সংসদের ভিপি-জিএসের বিরুদ্ধে এবং প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল। এ জন্য আজকে মিটিং ডেকে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। সে বলেছে, চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মচারী তাকে এ বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। কোনো কর্মচারী নাম জানতে চাইলে সে নাম বলেনি।’ অভিযোগ সত্যতা নিশ্চিততের জন্য দীপ্তিকে প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে বলে জানান লিপি।
অভিযোগকারীরা জানান, হল সংসদের এজিএস ফাল্গুনী তন্বী কোনো ভাগ না পাওয়ায় তার মাধ্যমেই এই তথ্য ফাঁস হয়েছে। হলের এক কর্মচারী ও এজিএস ফাল্গুনীর মধ্যেকার কয়েকটি অডিও কল রেকর্ডের ক্লিপ অভিযোগকারীদের কাছে রয়েছে। এসব অডিও ক্লিপের মধ্যে টাকা লেনদেনের প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করেন তারা।