আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে উপজেলা নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত না মেনে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হবে। এছাড়াও দলের কোনো সিনিয়র নেতা বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও দলীয় ফোরামে আলোচনা হবে বলে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।
মঙ্গলবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘দলের কোনো সিনিয়র নেতা বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও দলীয় ফোরামে আলোচনা হবে। অভিযোগ প্রমাণ হলে তাদের বিষয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে। আগামীতে যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হবে তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দল চলে। আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত দল। ১৪ সেপ্টেম্বর দলের পরবর্তী নীতিনির্ধারণী সভায় সাংগঠনের সফরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রস্তুতি আছে, নেত্রী নির্দেশ দিলে সম্মেলন করা হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত আছে। রোহিঙ্গা আর আসামের বিষয় এক নয়। ভারত আশ্বাস দিয়েছে আসামের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মেয়াদ শেষ হওয়া কমিটিগুলোর সম্মেলনের বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সম্মেলনের তারিখ ঠিক করা হবে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় রংপুর-৩ আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত হবে বলেও জানান তিনি।
সভায় আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, বিএম মোজাম্মেল হক, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামিম, মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।