খবর৭১ঃ
মানহানির অভিযোগে এক সাংবাদিকের দায়ের করা মামলায় জামিন নিতে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।
আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে হাজির হন তিনি। তাঁর পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তাফা, আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন চৌধুরী।
ব্যারিস্টার মইনুলের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আদালতে পুরো বিষয়টি আমরা উপস্থাপন করেছি। আদালত জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতের নথি দেখে জামিন বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।
জানা গেছে, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সবগুলো মামলায় জামিনে রয়েছেন। সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি নিজে বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে মামলাটি করেছিলেন। এই মামলায়ও উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। তবে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা ছিল, সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করে উচ্চ আদালতের দেয়া জামিনের বিষয়ে অবহিত করতে হবে। সেই সঙ্গে পুনরায় নিম্ন আদালত থেকে জামিন নিতে হবে।
গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের একটি টক শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির এক প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’
মইনুলের এ ধরনের বাক্য ব্যবহারে সমালোচনা শুরু হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় ২২ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সুপ্রিম কোর্টের এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে।
এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে আদালতে তোলা হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে সব মামলায় জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন তিনি।