খবর৭১ঃ
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীর ভাঙনে মুখে পড়েছে চর ফলকন গ্রামের মীরপাড়া জামে মসজিদ। চর ফলকন ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এই মসজিদ যেকোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
তিনযুগ ধরে স্থানীয়রা ওই মসজিদে জুমার নামাজসহ ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন। এখন মসজিদটি বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় মুসল্লিরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
গত দু’সপ্তাহের ভাঙনে মসজিদ সংলগ্ন পাটওয়ারি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। ওই বাড়ির ১২টি পরিবার ঘরভিটে হারিয়েছেন। এখন পারিবারিক কবরস্থান ভাঙছে। মসজিদের উত্তর পাশে মীরবাড়ি, হাওলাদার বাড়ি। ওই দু’বাড়িতে অন্তত ২৫টি পরিবারের বসবাস।
রোববার (১ সেপ্টম্বর) দুপুরে একঘণ্টার ভাঙনে হাওলাদার বাড়ির একাংশ নদীতে তলিয়ে গেছে। ভাঙনে মীরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত। আতঙ্কে আছে সাদেক মাস্টার বাড়ির বাসিন্দারাসহ শত শত পরিবার।
স্থানীয়রা বলেছে, মাতাব্বরহাট নদীর তীর রক্ষা বাঁধের দক্ষিণ অংশে যদি বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হত, তাহলে মসজিদসহ আশপাশের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি রক্ষা করা যেত। এখনও যদি দ্রুত জিও ব্যাগ স্থাপন করা হয়, তাহলে রক্ষা পাবে সাদেক মাস্টার বাড়িসহ অনেক বাড়িঘর।
চর ফলকন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাজি হারুনুর রশিদ বলেন, তার ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ভাঙনের কবলে পড়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়টি হুমকির মুখে। এমন পরিস্থিতে ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ স্থাপন করা জরুরি। ভাঙন ঠেকানো না গেলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়টিও থাকবে না।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মুসা বলেন, ফলকন লুধূয়া এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রসহ কয়েকটি স্থাপনা রক্ষায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। ভাঙনের গতি অনেক বেশি, তবুও ভাঙন ঠেকাতে চেষ্টা অব্যাহত আছে। ভাঙন কবলিত এলাকার বিষয়ে কতৃপক্ষে জানানো হয়েছে।