খবর৭১ঃ
দীর্ঘ মেয়াদে অধিনায়কের দায়িত্ব পালনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত নন বলে দাবি করেছেন তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। অধিনায়কত্ব নিয়ে আগ্রহবোধ না থাকার বিষয়টিও সাফ জানিয়ে দিলেন টাইগার সুপারস্টার।
নিজের পারফরম্যান্সের উপর তিনি শতভাগ মনোযোগী হওয়াকে প্রাধান্য দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। আগামী চার বছরের প্ল্যানের ভিত্তিতে দলনায়কের বাড়তি দায়িত্বের চ্যালেঞ্জে নতুন জেনারেশনের ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করার আহ্বানও রেখেছেন সাকিব। টাইগার ক্রিকেটের চলমান কঠিন সময়কে বিবেচনায় নিয়ে তিনি আপাতত টি-২০ ও টেস্টের ফরম্যাটের অধিনায়ত্বে বহাল থাকার সিন্ধান্ত নিয়েছেন। স্থানীয় এক মিডিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ সব কথা জানান বাংলাদেশের সুপারস্টার।
সাকিব বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে টেস্ট ও টি-২০ ফরম্যাটে অধিনায়কত্বের জন্যও আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত নই। কিন্তু দলের জন্য এখন কঠিন সময়। সুসময়ের প্রত্যাবর্তনের চ্যালেঞ্জে নেতৃত্ব দেয়ার কাজটি আমার দায়িত্ববোধের মধ্যেই পড়ে। অন্যথা কোনো ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব নিয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহবোধ করি না। দলনায়কত্বের দায়িত্ব না থাকলে আমি নিজের পারফরম্যান্সের প্রতি শতভাগ মনোযোগ দিতে পারি। এ ক্ষেত্রে দলও উপকৃত হবে। মূলত নতুন জেনারেশনের ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করার সময় এসেছে টাইগারদের দলনায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে। অনেক তরুণ বয়সে মুশফিকুর রহিম অধিনায়ত্ব করেছেন। তার পরের ব্যাচের ক্রিকেটারদের বয়স এখন ২৬-২৭ বছর। সুযোগ না দিলে আমরা জানতেও পারব না তাদের নেতৃত্বগুণের খবর। দরজায় কড়া নাড়ছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও টি-২০ বিশ্বকাপ। ফলে অধিনায়কত্ব নিয়ে কাজ করার জন্য আগামী চার বছরের সার্কেল টার্গেটই হবে যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ।
বর্তমানে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের পূর্ণকালীন টি-২০ ও টেস্ট ফরম্যাটের দলনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন সাকিব আল হাসান। ২০১৭ সালের এপ্রিলে ২০ ওভারের ক্রিকেটকে গুডবাই বলে দেন কিংবদন্তিতুল্য অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে সূচনা সাকিবের দ্বিতীয় মেয়াদের দলনায়ক ক্যারিয়ারের। একই বছরের ডিসেম্বরে তিনি টেস্ট ফরম্যাটের দায়িত্বও বুঝে পান মুশফিক বরখাস্ত হলে।
অধিনায়ত্ব বিমুখতার কথা ১৩ বছরের আর্ন্তজাতিক ক্যারিয়ারে সাকিব প্রথমবারের মতোই খোলামেলা প্রকাশ করেছেন। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে প্রথম মেয়াদে তার টাইগার দলনায়ক হিসেবে অর্জিত বিরূপ অভিজ্ঞতা। ২০০৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে চলে যাওয়া মাশরাফির স্থলাভিষিক্ত হন সাকিব। দুই বছর পর পূর্ণকালীন দলনায়ক নির্বাচিত হওয়ার আট মাস পরই তিনি বরখাস্ত হন ২০১১ সালের বিশ্বকাপে প্রত্যাশিত নৈপুণ্য প্রদর্শনে ব্যর্থ হওয়ায়।