খবর৭১ঃ
আফগানিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের তিন সংস্করণে অধিনায়ক ও দলের সেরা পারফর্মার হিসাবেও বাড়তি প্রত্যাশা থাকে এই তরুণ ক্রিকেটারের কাছে। কীভাবে সব কিছু সামলান, কী লক্ষ্য নিয়ে খেলেন, সিপিএল খেলতে ক্যারিবিয়ান তরুণীর বিয়ের প্রস্তাব পাওয়ার অভিজ্ঞতা- সেসব বলেছেন একান্ত সাক্ষাৎকারে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে অনুশীলনের এক ফাঁকে সময় দেন রশিদ। নিজের ব্যক্তিগত দর্শনকে খুব সহজ ভাষায় প্রকাশ করেছেন তিনি। হঠাৎ করে খ্যাতিমান ক্রিকেটার হয়ে ওঠায়, চারদিকে নামডাক ছড়িয়ে পড়ায় তিনি বদলে যাননি বলেই দাবি করেছেন। তিন বছর আগেও যেভাবে জীবনযাপন করতেন এখনো তেমন সাদাসিধেই থাকার চেষ্টা করেন।
রশিদের ভাষায়, ‘আমি আমার জীবনে সব পেয়েছি। সাদাসিধে জীবনযাপন আমার পছন্দ। বড় খেলোয়াড় হয়েছি বলে পরিবর্তন পছন্দ নয় আমার। তিন বছর আগে যেমন ছিলাম তেমনই আছি। আমি প্রতি মুহূর্ত উপভোগ করি। সবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখি।’ তার সাফল্যের মূলমন্ত্র কী- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাহস, ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস আমার ভালো করার মূল শক্তি। ভালো খারাপ পারফরম্যান্স হবেই। তবে তার মানেই তো জীবন শেষ নয়।’
রশিদের সামনে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হয়েছিল, আসন্ন টেস্টে বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যানের উইকেট শিকারের লক্ষ্য ঠিক করেছেন তিনি। তবে হতাশ করেছেন আফগান অধিনায়ক। জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট কারো উইকেট নেয়ার লক্ষ্য নিয়ে তিনি মাঠে নামেন না। বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামলেই সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট অধিনায়ক হিসাবে রেকর্ড গড়বেন রশিদ। অধিনায়কত্ব নিয়েও কথা বলেছেন এই লেগি।
আফগান অধিনায়কের ভাষায়, আমি কোনো ব্যাটসম্যানকে টার্গেট করি না, লাইন লেন্থ টার্গেট করি। টেস্ট ক্রিকেটে প্রত্যেকেই বিপদজনক। পাঁচদিনের খেলায় যে-কেউ লড়াই করতে পারে। প্রতিটা দলের অধিনায়ককে ভালো করতে হবে আগে। তবে অধিনায়ককে কখনোই চাপ নেয়া যাবে না। আমি শতভাগ সেরাটা দিতে চাই, খেলাটা উপভোগ করতে চাই।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) খেলতে যেয়ে বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন রশিদ। জানিয়েছেন সে অভিজ্ঞতার কথাও, ‘ক্যারিবিয়ান লিগ খেলতে যেয়ে প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। একটা মেয়ে বোর্ডে লিখে দিয়েছিল এমন কিছু যে, সে আমাকে বিয়ে করতে চায়। মেয়েটার নাম আমার মনে নেই। তবে ভক্তদের প্রতি আমার সবসময়ই শ্রদ্ধা থাকে। ভালোবাসি সবাইকে।’