খবর৭১ঃ
মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুরঃ সৈয়দপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে সভাপতি প্রার্থী এক মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে মুক্তিযোদ্ধারা। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে প্রতিবাদ সভা করেছে সৈয়দপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কস্থ সংগঠনটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা জিকরুল হক।
এতে বক্তব্য বলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. একরামুল হক সরকার, মো.শামসুল হক, মো.ওয়াহেদ আলী, একেএম ফজলুল হক প্রমুখ। সভায় বক্তারা মুক্তিযোদ্ধা মো. মোখলেছুর রহমানকে মারপিটের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, সেপ্টেম্বরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে গত ২৮ আগস্ট কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে ভোট গণনায় মোখলেছুর-নজু প্যানেল এগিয়ে থাকলেও ফলাফল ঘোষণার আগেই সভাপতি পদপ্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমানের ওপর আকস্মিক হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েকজন আহত হন। হামলায় মুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে অন্যান্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার একরামুল হক বলেন, কাশিরাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে মুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমান ও নজু প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বি প্যানেলের চেয়ে অনেক ভোটে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু ফলাফল ঘোষণার আগেই প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর লোকজন পরিকল্পিত ভাবে রিটার্নিং অফিসারসহ এগিয়ে থাকা প্রার্থীসহ সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। তিনি অবিলম্বে এ হামলায় জড়িতদের বিচার এবং কাউন্সিলের স্থগিত ফলাফল ঘোষণার দাবি জানান। মুক্তিযোদ্ধাদের এ দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আগামীতে আওয়ামীলীগের কোন কার্যক্রমে অংশ নেবে না বলে জানান।
প্রতিবাদ সভায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্যরা অংশ নেয়। এদিকে একটি সুত্রে জানা গেছে মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলার ঘটনায় জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়াসহ মামলার প্রস্তুতি চলছে।