খবর৭১ঃ সম্প্রতি অফিসে কর্মরত অবস্থায় গহর জাহান নামের এক নারী ব্যাংকারের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ওই নারী মারা গিয়েছেন।
হৃৎস্পন্দন বন্ধ হলে বা কমে গেলে কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাস সাময়িক কমে গেলে তাকে সিপিআর দিয়ে সহায়তা করা যায় কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন বা সিপিআর জীবন রক্ষাকারী একটি কৌশল। হার্ট অ্যাটাক বা বিভিন্ন কারণে শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হলে জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে সিপিআর দেয়াটা বিশ্বজুড়ে প্রচলিত।
হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে বা হার্ট অ্যাটাক করলে সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার মতো প্রশিক্ষণও আমাদের নেই। আর এজন্য প্রয়োজন হার্ট অ্যাটাকের পর দ্রুত কার্ডিয়াক পালমোনারি রিসাসসিটেশন (সিপিআর) প্রয়োগ করা। শুধু স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যই নয়, সাধারণ মানুষও এ পদ্ধতি জেনে রাখতে পারেন।
জেনে নিন সিপিআর দেয়ার নিয়ম-
১. প্রথমে রোগীকে চিৎ করে শোয়ানোর পর পালস আছে কি না এবং শ্বাস নিচ্ছে কি না তা দেখতে হবে।
২. একটি হাত প্রসারিত করে অন্য হাতের আঙুল দিয়ে লক তৈরি করতে হবে। হাতের তালুর উঁচু অংশটি বুকের পাজরের নিচের অংশে ঠিক মাঝ বরাবর বসিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ২ বার করে জোরে জোরে চাপ দিতে হবে।
৩. খেয়াল রাখতে হবে দুই হাত যেন ভাঁজ না হয়।এমনভাবে চাপ দিতে হবে যেন দেড় থেকে ২ ইঞ্চি দেবে যায়।
৪. এভাবে ৩০ বার চাপ দেয়ার পর, রোগীর কপাল এবং থুতনিতে হাত দিয়ে মুখটি খুলতে হবে। এরপর মুখ দিয়ে মুখে জোরে জোরে দু’বার শ্বাস দিতে হবে।
আবার সেই একই পদ্ধতি অনুসরণ করে ৩০ বার বুকে চাপ দিয়ে দু’বার শ্বাস দিন। তবে এ সব পদ্ধতি যদি কাজ না করে তবে কয়েক মিনিটের মধ্যে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে।