খবর৭১ঃ
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ আইন অমান্য করে ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক প্লেসে চলছে ধুমপান ও তামাকজাত পন্যের প্রচারনা। শহরের জজকোর্ট চত্বর, ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল এলাকা, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা, ঠাকুরগাঁও রোড এলাকাসহ বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে চলছে প্রকাশ্যে ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের প্রচারনা। এসব তামাকজাত পন্যের দোকান গুলোতে সংশ্লিষ্ট তামাকজাত পন্যের কোম্পানীর পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনের স্ট্রিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এসব স্টটে চলছে প্রকাশ্যে ধুমপান। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিরবতায় বাড়ছে এসব কর্মকান্ড। পাবলিক প্লেস” অর্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস, আধা-সরকারি অফিস, স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও বেসরকারি অফিস, গ্রন্থাগার, লিফট, আচ্ছাদিত কর্মক্ষেত্র হাসপাতাল ও ক্লিনিক ভবন, আদালত ভবন, বিমানবন্দর ভবন, রেলওয়ে স্টেশন ভবন, বাস টার্নিমাল ভবন, প্রেক্ষাগৃহ, প্রদর্শনী কেন্দ্র, থিয়েটার হল, বিপণী ভবন, চতুর্দিকে দেয়াল দ্বারা আবদ্ধ রেস্টুরেন্ট, পাবলিক টয়লেট, শিশুপার্ক, মেলা বা পাবলিক পরিবহনে আরোহণের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষার জন্য নির্দিষ্ট সারি, জনসাধারণ কর্তৃক সম্মিলিতভাবে ব্যবহার্য অন্য কোন স্থান।
এসব স্থানে ধুমপান করা ও বিজ্ঞাপন প্রচার করা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আইন অমান্য করলে অর্থদন্ডসহ জেল দেওয়ার বিধান আছে। তামাকপন্য বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পনীর গুলোর পক্ষ থেকে এসব পোস্টার, ছোট আকারে স্টিকার দোকানের সামনে লাগিয়ে যায়। ঠাকুরগাঁও জজকোর্ট চত্বরের তামাকপন্য বিক্রেতা আব্দুল খালেক ও ফিরোজ জানায়, বিজ্ঞাপনের কাগজ গুলো ছিড়ে ফেলানো হয়। পরে পুনরায় কোম্পনীর প্রতিনিধিরা সিগারেট দিতে আসলে লাগিয়ে যায়। একই কথা বললেন, পুরাতন বাসস্যান্ড এলাকার ভারতীয় ভিসা অফিসের সামনের দোকান মালিক আব্দুল হালিম। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজদারীর অভাবে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রকাশ্যে ধুমপান ও তামাকজাত পন্যের প্রচারনা চলছে বলে অভিযোগ করেন অনেকেই। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে প্রকাশ্যে ধুমপান করা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, প্রকাশ্যে ধুমপান করা অপরাধ। তারপরেও টেনশনে থাকায় তিনি ধুমপান করছেন , আর কখনো প্রকাশ্যে ধুমপান করবেন না বলে জানান তিনি।
বক্ষব্যধি বিশেষজ্ঞ দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা: আবু মোহাম্মদ খয়রুল কবীর বলেন, প্রকাশ্যে ধুমপানে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরে অনেকেই। এতে মরনব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারে অনেকেই। তাই আইনটি মেনে চলা জরুরী বলে মনে করেন তিনি। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড.কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, আইনটি দেখতে হবে। বিধিনিষেধ গুলো দেখে কেউ অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।