সৈয়দপুরে খোলা গেটের উপর দিয়ে গেল ট্রেন, অল্পের জন্য রক্ষা!

0
543
সৈয়দপুরে খোলা গেটের উপর দিয়ে গেল ট্রেন, অল্পের জন্য রক্ষা
সৈয়দপুরে ট্রেন চলাচলের সময় গেট নামানোয় হয়না ব্যারিয়ার। ছবিঃ সংগৃহীত।

খবর৭১ঃ

মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর থেকেঃ সৈয়দপুরে ট্রেন চলাচলের সময় গেট ব্যারিয়ার না নামানোয় বড় ধরণের দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে সৈয়দপুরবাসী। রক্ষা পেয়েছে যানবাহনসহ শত শত পথচারি। দায়িত্ব পালনে অবহেলার এ ঘটনায় গেটম্যান ও স্টেশন মাষ্টার পরস্পর বিরোধী বক্তব্য প্রদান করেছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা একে অপরকে দায়ি করছেন।গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় শহরের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য্য চত্বরে (পাঁচ মাথা মোড়) ১২৫ নং রেলগেটে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষুব্ধ পথচারিরা ওই গেটম্যানের ওপর চড়াও হলে অন্যান্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থতি শান্ত হয়। প্রতক্ষদর্শীরা জানায়, চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী আন্তঃনগর রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেলা সাড়ে ১১টায় সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে আসার প্রায় দুই মিনিটেই স্টেশনের পর ১২৬ নং প্রথম গেট পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য্য চত্বরের (পাঁচমাথা মোড়) ১২৫ নং গেটে পৌছে যায়।

এসময় সেখানে দায়িত্বে থাকা গেটম্যান মোতাহার হোসেনকে গেট ব্যারিয়ার না ফেলতে দেখে এবং সময় চলন্ত ট্রেন সামনে চলে আসায় তৎক্ষনাত ওই গেট সংলগ্ন দায়িত্ব পালনরত ট্রাফিক-পুলিশ ও অন‌্যান‌্যরা ছুটে এসে ব্যারিয়ার নামিয়ে যানবাহন ও পথচারিদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়। এতে গেটের দু পাশের অসংখ্যক রিক্সা ও অন্যান্য পরিবহনের যাত্রি ও পথচারিরা প্রান রক্ষা পায়। এ ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে গেটম্যানকে মারধরের চেষ্টা করে। পরে অন্যান্য লোকজনের হস্তক্ষেপে গেটম্যান রক্ষা পায়। এ বিষয়ে কথা হয় পাশেই অবস্থান করা দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জন মো.আশরাফ কোরাইশির সাথে।তিনি জানান, শহরের গুরুত্বপুর্ণ এ মোড়ের রেল লাইন অতিক্রম করে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন ও পথচারি আসা যাওয়া করেন। এ সময় একটু অসতর্ক হলেই ওই মুহুর্তে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটে যেত। নেহাল নামে এ গেট সংলগ্ন এক চর্মকার জানান, ট্রেন আসতে দেখে দ্রত গেট নামালে অনেকেই গেটের ভিতরে আটকা পরে। তবে মূহুর্তেই তাদেরকে সরিয়ে দেয়া হয়। গেটম্যান মোতাহার হোসেন বলেন, চিলাহাটি থেকে সৈয়দপুর স্টেশন ইয়ার্ডে প্রবেশের পরেই স্টেশন মাষ্টার একবার ফোন দিয়ে জানায় যে স্টেশনে ট্রেন অবস্থান করছে। এরপর রাজিয়া নামে এক গেটম্যান মোবাইল ফোনে তাকে জানিয়ে দেয়। কিন্তু ষ্টেশন থেকে ট্রেনটি ছেড়েছে এ তথ্য না জানানোয় এ ভুল হয়েছে। সৈয়দপুর স্টেশনের গেটম্যান রাজিয়া সুলতানা বলেন, ১২৫ নং গেটম্যান মোতাহারকে আমিসহ প্রধান স্টেশন মাষ্টার মিলে ৪ বার কল দিয়েছি।

তারপরেও গেটম্যান অস্বীকার করলে করার কিছুই নেই। সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্রধান স্টেশন মাষ্টার মোঃ শওকত আলী গেটম্যানের এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি তিনবার তাকে মোবাইলের মাধ্যমে ট্রেন ছাড়ার কথা জানিয়েছি। সে ফাঁকি বা অন্য কাজে ব্যস্ত থাকলে আমার করার কিছুই নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র জানায়, গেট ব্যারিয়ার না ফেলানোর দুর্ঘটনা থেকে শত-শত মানুষের প্রান রক্ষা হলেও দায়িত্ব অবহেলার কারণে একে অপরকে দোষারোপ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে গতকালের এ ঘটনা বর্তমান রেল ব্যবস্থাপনাকে তামাশার খোড়াকে পরিণত করেছে তারা। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান পথচারি ও এ শহরের সচেতন মানুষেরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here