খবর৭১ঃ
গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ২৯৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। এর মধ্যে ঢাকার ১২টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে ৪২৯ জন, ঢাকার ২৯টি বেসরকারি হাসপাতালে ১৭৮ জন এবং ঢাকার বাইরে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬৯২ জন। এছাড়া ডেঙ্গুতে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার মধ্যরাতের পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফজলুর রহমান (৫৫) নামের ডেঙ্গু আক্রান্ত একজনের মৃত্যু ঘটেছে বলে তাঁর স্বজনরা জানিয়েছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরে হলেও থাকতেন ঢাকার দক্ষিণ বনশ্রীতে। শুক্রবার তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এ ছাড়া রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অমল সন্ন্যাসী নামের ধামরাইয়ের এক রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর মৃত্যুর কারণ ডেঙ্গু বলে দাবি করা হলেও চিকিৎসকরা বলেছেন, ওই রোগীর ডেঙ্গু নয়, টাইফয়েড ছিল। অন্যদিকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঢাকায় নিয়ে আসার পথে ডেঙ্গু আক্রান্ত সুমি আক্রার (৩০) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু ঘটেছে বলে জানিয়েছেন আমাদের মাদারীপুরের প্রতিনিধি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমারজেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার জানান, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ২৯৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। এর মধ্যে ঢাকার ১২টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে ৪২৯ জন, ঢাকার ২৯টি বেসরকারি হাসপাতালে ১৭৮ জন এবং ঢাকার বাইরে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬৯২ জন। আর ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৯৯ জন, যা আগের দিনে ছিল ৮৫ জন; মিটফোর্ড হাসপাতালে ৯৪ জন, যা আগের দিন ছিল ৫৪ জন; মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫৭ জন, যা আগের দিন ছিল ৬৫ জন; শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪৫ জন, যা আগের দিন ছিল ৪৮ জন; রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আটজন, আগের দিনে যা ছিল ১২ জন; কুর্মিটোলা হাসপাতালে ৬০ জন, যা আগের দিন ছিল ৩০ জন উল্লেখযোগ্য। একই সময়ের মধ্যে ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে যাথারীতি আগের মতোই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫৪ জন, আগের দিন যা ছিল ৫২ জন। আর বিভাগ হিসাবে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে ঢাকা বিভাগে (ঢাকা মহানগরীর বাইরে) ১৭৪ জন, এর পরই খুলনা বিভাগে ১৬৬ জন ও বরিশাল বিভাগে ১২৬ জন। এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে ১৭ জন হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে, ১৬ জন করে ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতাল ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।