খবর৭১ঃ ছাত্রলীগকে ‘ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস না খাওয়া’র পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘ছাত্রলীগকে কোন মন্ত্রী, এমপি, কোন নেতার স্বার্থ রক্ষার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবেন না। আমার কিছু জানার দরকার হলে আমি কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছ থেকে জানবো। কিন্তু সরাসরি ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া- এটা আমি সমর্থন করি না।
২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার স্বরণে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।
ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কারো দ্বারে দ্বারে ঘুরবেন না। নেতাদের দ্বারে দ্বারে ধর্না দিয়ে লাভ নেই। ছাত্রলীগের একটি স্বকীয় সত্ত্বা আছে। তিনি বলেন, (ছাত্রলীগ) বড় সংগঠন, ছোট-খাট সমস্যা থাকবেই। দায়িত্বপ্রাপ্তরা আছেন, পরামর্শের দরকার হলে আমি পূর্বসূরী হিসেবে পরামর্শ দিই।
কিন্তু নিয়ম বজায় রেখে করবেন। রাস্তায় বিদ্রোহ করে আমাদের অপমান করবেন না। এখানে একটি ফোরাম আছে, তারা ফেইল করলে আমি আছি, আমি ফেইল করলে নেত্রী আছে। আমাদের তো অনেক স্তর আছে। ’
ছাত্রলীগে ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের মূল্যায়নের নিশ্চয়তা দিয়ে তিনি তাদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানান। ওবায়দুল কাদের সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছাত্রলীগকে আর খারাপ কাজের শিরোনাম করবেন না। ছাত্রলীগের সুদিনের ধারা ফিরিয়ে আনুন। এজন্য তিনি উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে কর্মপরিকল্পনা করারর আহ্বান জানান।
সভায় আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, ২১ আগস্টের হামলা কোন তাৎক্ষণিক ষড়যন্ত্র ছিল না। বরং এটি ছিল একটি সূদুরপ্রসারী একটি পরিকল্পনা। সেদিন শুধু গ্রেনেড হামলা করেই সেদিনের পাকিস্তানী ভাবধারায় বিশ্বাসী বিএনপি-জামাত সরকার ক্ষান্ত হয়নি, বরং আহতদের চিকিৎসা সেবা থেকে অমানবিকভাবে বঞ্চিত করেছিল।
সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিএনপিকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, সন্ত্রাসী করার পর এদেশে রাজনীতি করার অধিকার ছাত্রসমাজ কাউকে দেয়নি।
অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন বিন ছাত্তার, ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।