খবর৭১ঃ ভারতের হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড ও পাঞ্জাব রাজ্যে রবিবার ভারী বৃষ্টিপাত চলাকালে বিভিন্ন ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৮ জন। তবে সোমবার বৃষ্টিপাত হ্রাস পেয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
রবিবার দিনভর ভারী বৃষ্টিপাতের পর যমুনা ও ঐ অঞ্চলের অন্যান্য নদীর পানি বিপত্সীমা ছুঁই ছুঁই হওয়ায় দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশে বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়। হিমাচল প্রদেশে বৃষ্টি সম্পর্কিত বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুই জন নেপালি নাগরিকও রয়েছেন। পাশাপাশি আরো ৯ জন আহত হয়েছেন।
প্রবল বৃষ্টির কারণে রাজ্যটির কুল্লু এলাকায় বিদেশিসহ ২৫ জন পর্যটক দুই দিন খাবার ও আশ্রয়বিহীন অবস্থায় আটকে থাকার পর রবিবার তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্যটির বিভিন্ন জায়গায় ভূমিধসের ঘটনায় কয়েক শ’ পর্যটক ও স্থানীয় লোক আটকা পড়ে আছেন। ভূমিধসের কারণে কালকা ও শিমলার মধ্যে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে, চন্ডিগড়-মানালি মহাসড়কে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যটির শিমলা, সোলান, কুল্লু ও বিলাসপুর জেলার সব স্কুল সোমবার বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে উত্তরাখন্ড রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বিভিন্ন ঘটনায় ৩২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া এই অঞ্চলে নিখোঁজ রয়েছেন ৮ জন।
অন্যদিকে পাঞ্জাব ও প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানায় ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় কয়েকটি এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। রাজ্য দুটির কর্তৃপক্ষ উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বিপত্সীমা অতিক্রম করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সম্ভাবনাকে সামনে রেখে দিল্লি সরকার নগরীতে বন্যা সতর্কতা জারি করেছে। নগরীর নিচু এলাকায় বসবাসকারী লোকজনকে নিরাপদ এলাকায় সরে যেতে বলা হয়েছে। ভারতে সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৌসুমি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। বৃষ্টি কৃষকদের জন্য উপকারী হলেও প্রতি বছর অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটে।