খবর৭১ঃ
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যায় আওয়ামী লীগের নেতারাই জড়িত, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জড়িত নন। ইতিহাসই প্রমাণ, জড়িত ছিলেন তাঁদের লোকজন, যারা পরবর্তীতে সরকার গঠন করেছেন।’
আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বিএনপির সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়াউর রহমান জড়িত- আওয়ামী লীগের নেতাদের এমন অভিযোগ সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দীর্ঘকাল ধরেই এই ইতিহাস তাঁরা বিকৃত করার চেষ্টা করছেন। এটা ধ্রুব তারার মতো সত্য, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি কোনো মতেই কোনো হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন না। ইতিহাসই এর প্রমাণ। জড়িত ছিল তাঁদের (আওয়ামী লীগ) লোকেরা। যারা পরবর্তীতে সরকার গঠন করেছেন, পার্লামেন্টে গেছেন।’
কোরবানির চামড়ার অস্বাভাবিক দরপতনে বিএনপিকে দোষারোপ করা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে, এঁরা তো দেশ চালাতে পারছেন না। সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। একটি অনির্বাচিত সরকার দেশ চালাতে পারে না। তাঁরা অবৈধ। জনগণের ম্যান্ডেট তাঁদের প্রতি নেই। পার্লামেন্ট বলুন আর সরকারই বলুন, জনগণের প্রতিনিধি নেই। সুতরাং এই ধরনের অর্বাচীনের মতো কথা বলা ছাড়া তাদের তো আর কোনো কিছু করার নেই।’ তিনি বলেন, ‘এই অবৈধ সরকার সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। এখন তাঁরা অর্থনীতিকে ধ্বংস করার জন্য কাজ করছেন। তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা।’
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘রাজনীতি দূর করে দিয়ে তাঁরা এখানে প্রভুত্ব কায়েম করতে চান, যেটা সম্ভব হবে না, এই দেশের মানুষ কখনও মেনে নেবে না। এদেশের মানুষ অবশ্যই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করবে। অতীতের মতো তাঁরা গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করবে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।