বাজারে সরবরাহ বেড়ছে ইলিশের; দাম কমেছে অন্য মাছের

0
560
বাজারে সরবরাহ বেড়ছে ইলিশের
বাজারে সরবরাহ বেড়ছে ইলিশের। ছবিঃ সংগৃহীত।

খবর৭১ঃ

বর্তমানে পদ্মা-মেঘনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রূপালি ইলিশ। স্থানীয় মোকামে খুচরা বিক্রেতার ভিড় থাকায় ইলিশের কমতি নেই রাজধানীর পাইকারি বাজারেও। এসব বাজারে প্রতিদিনই সরবরাহ বাড়ছে ইলিশের। দাম সাধ্যের মধ্যে থাকায় ক্রেতার সাড়াও রয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।

এদিকে, বাজারে ইলিশের ভিড়ে দাম কমেছে সব রকম সাদা মাছের। আবার কোনো কোনো মাছের বিক্রির পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে ইলিশ। সব মাছের দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে। রোববার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি মাছের বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজি থেকে এক কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের প্রতি হালি ইলিশ তিন হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেগুলো এক সপ্তাহ আগে সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। দুই কেজি ওজনের প্রতিকেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে। যা এর আগে বিক্রি হয়েছে ২৫০০ থেকে ২৮০০ টাকায়। আড়াই থেকে তিন কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গেছে ২৮০০ টাকা কেজি। যেগুলো এর আগে বিক্রি হয়েছে ৩৫০০ থেকে চার হাজার টাকায়।

এ বাজারে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি, আর ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৬০০ গ্রাম সাইজের প্রতি হালি ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গেছে ১২০০ টাকায়। তিন পিসে কেজি এমন ইলিশ প্রতিকেজি সাড়ে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি জাটকা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি ইলিশ বিক্রেতা কেএম ওলিউল্লাহ বলেন, এক থেকে দুই সপ্তাহ আগে যে ইলিশ বিক্রি হয়েছে তিন হাজার টাকা কেজি আর সেগুলোর হালি এখন দুই হাজারের কম। তার মতে, বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশের সরবরাহ থাকায় দাম কমেছে। ইলিশের সরবরাহ বেশি হওয়ায় অন্য মাছের ক্রেতারা ইলিশের দিকে ঝুঁকছে তাই অন্য মাছের দাম কমেছে।

বাজারে সরবরাহ বেড়ছে ইলিশের
ইলিশ ছাড়া অন্যান্য মাছে দাম কমতির দিকে। ছবিঃ সংগৃহীত।

এ বাজারে চাপিলা প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ৬০০ টাকা, কাচকি প্রতি পাল্লা ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের মতে, এর আগে চাপিলা প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, কাচকি প্রতি পাল্লা ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দাম কমে প্রতি কেজি রূপচাঁদা বিক্রি করতে দেখা গেছে ৭০০ থেকে ৮৬০ টাকায়, কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা কমে আকারভেদে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা,  মৃগেল ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। বাইলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি, চিংড়ি হরিনা ৩৮০ থেকে ৩২০ টাকা, গলদা ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, বাগদা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে। ২০ থেকে ৫০ টাকা কমে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, টাকি ১০০ থেকে ১৮০ টাকা, পাঙাশ ৮০ থেকে ১০০ টাকা, শিং ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এ বাজারের পাইকারি মাছ বিক্রেতা হারুন বলেন, এখন বাজারে ইলিশ বেশি হওয়ায় দেশি সাদা মাছের দাম কমেছে। চিংড়িসহ অনেক মাছ বিক্রি হচ্ছে না। তাই বরফ দিয়ে রেখে পরের দিন বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে ইলিশের দাম কম হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতার মধ্যে।

ক্রেতা আবির হুসাইন বলেন, আমি কারওয়ান বাজারে ১৫ দিন পর পর মাছ কিনতে আসি। গত তিন থেকে চার মাস ধরে সব মাছের দাম ছিল চড়া। এখন ইলিশসহ অন্য সব মাছের দাম কমাতে স্বস্তি ফিরেছে। এতে অন্তত আমরা ইলিশের স্বাদ নিতে পারবো।

বাজারে সরবরাহ বেড়ছে ইলিশের
রুপালি ইলিশ। ছবিঃ সংগৃহীত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here