খবর৭১ঃ মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডকে জায়গা দখলকারীদের ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। শনিবার দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে রাজধানীর মিরপুর-৭ নম্বর সেকশনের ঝিলপাড়ে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তি পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সাথে এ কথা বলেন।
বস্তি পরিদর্শন শেষে ড. কামাল বলেন, একটার পর একটা অগ্নিকাণ্ড আমাকে আর কতবার দেখতে হবে? মানুষ কবে পাবে নিরাপদে জীবন যাপনের অধিকার? এভাবে ঘটনা ঘটা খুবই নিন্দনীয়। ঈদের সময় মানুষ অন্য চিন্তা না করে জায়গা খালি করার জন্য কিভাবে এমন করতে পারে চিন্তার মধ্যে আসে না।
আমরা মনে করি গভীরভাবে তদন্ত করা উচিত। যে বা যারা আগুন লাগানোর সঙ্গে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতেই হবে। লাখ লাখ মানুষ খোলা আকাশের নিচে অর্ধাহারে, অনাহারে, বস্ত্রহীন, আশ্রয়হীন অশ্রুশিক্ত নয়নে, ডেঙ্গু আক্রান্ত শহরে দিনাতিপাত করছে।
এদের দুর্দশা লাঘবে সরকারসহ সকল সামাজিক সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়াও স্থানীয় জনগণের কাছেও ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতার জন্য আবেদন করেন।
এসময় ড. কামালের সঙ্গে ছিলেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত রায় চৌধুরী, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, মোকাব্বির খান এমপি, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মেজর জেনারেল অব. আ ম সা আ আমিন, শান্তিপদ ঘোষ, মেজর অব. আমিন আহমেদ আফসারী, লতিফুল বারী হামিম প্রমুখ।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে দলের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়ার কাঁধে ভর দিয়ে তিনি গাড়ি থেকে নামেন। এরপর পোড়া বস্তির পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীদের অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশা প্রত্যক্ষ করেন।
এসময় ক্ষতিগ্রস্তদের কয়েকজনের সাথে কথা বলেন তিনি।
ড. কামাল হোসেন বস্তিবাসীদের উদ্দেশে বলেন, আমি অত্যন্ত মর্মাহত, মহান আল্লাহতালা আপনাদের সহ্য করার তৌফিক দিক। একটার পর একটা অগ্নিকাণ্ড আমাকে আর কতবার দেখতে হবে? মানুষ কবে পাবে নিরাপদে জীবন যাপনের অধিকার?
পরে ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের আরও বলেন, সরকারের উচিত যাদের দায়িত্ব ছিল তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে কি না তা খতিয়ে দেখা। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার জন্য সরকারি উদ্যোগও নেওয়ার দাবি জানান।
ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ড. কামাল হোসেন সব সময় বস্তিবাসীদের পাশে ছিলেন থাকবেন। গণফোরাম সভাপতি পরিষদ সদস্য মেজর জেনারেল অব. আ ম সা আ আমিনসহ একটি টিম আপনাদের খোঁজখবর নিবেন।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক মানুষের নিরাপদে বাঁচার অধিকার আছে। দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ক্ষমতা দখলকারীরা মানবতাবোধ নিয়ে এতোখানি উদাসীন, একদিন জাতির মুখোমুখি হতে হবে। মানুষ নিরাপদে শান্তিতে থাকতে চায়, লুটপাট আর দখলদারিত্ব চায় না।