খবর৭১ঃ
নিজের অবসরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে দুই মাসের সময় চেয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার এমন আবেদনের প্রেক্ষিতে মাশরাফির জাকজমকপূর্ণ বিদায় জানাতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে বিসিবি। খবর বাসস।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন অবসর বিষয়ে মাশরাফির সঙ্গে আলোচনা করেন এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক মাত্র ওয়ানডে আয়োজনের পরিকল্পনার কথা জানান। এরপর অধিনায়ক নিজের অনীহার কথা প্রকাশ করলে নিজেদের পরিকল্পনা থেকে সরে আসে বোর্ড। মাশরাফি ইতোমধ্যেই ২০১৭ সালে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন এবং ২০০৯ সাল থেকে টেস্ট খেলছেন না। বাংলাদেশ দলের পরবর্তী ওয়ানডে সূচি রয়েছে আগামী বছরের মার্চে। তাই তার অবসর পরিকল্পনা দির্ঘায়িত হতে পারে।
বিসিবি সভাপতি পাপন আজ শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘মূলত আমি দুটি কারণে মাশরাফির সঙ্গে কথা বলেছি- একটি হচ্ছে সে ওয়ানডে অধিনায়ক তাই দলের প্রধান কোচ নিয়োগের বিষয়ে তাকে জানাতে। আমি সাকিবের সঙ্গেও প্রধান কোচ নিয়োগের বিষয়ে কথা বলেছি, কেননা সে অন্য দুই ফরম্যাটের অধিনায়ক ।’
নাজমুলের কথায়, ‘দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে- আমরা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজন করব কিনা সেটা জানতে। তবে সে বলেছে, যেহেতু ২০২০ সালের মার্চের আগে বাংলাদেশ দলের কোন ওয়ানডে সিরিজ নেই তাই এটা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাচ্ছে। মাশরাফি বলেছে, এই মুহূর্তে তার জন্য কোন সিরিজ আয়োজন না করাটাই ভাল হবে। অবসরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তার দুই মাস সময় প্রয়োজন বলে সে জানিয়েছে। আমরা এটা মেনে নিয়েছি।’
যদিও অতীতে কোন খেলোয়াড়কে এমন জাকজমকপূর্ণ বিদায় জানানোর কথা চিন্তা করেনি বিসিবি। তবে দেশের ক্রিকেটে তার স্বীকৃতি হিসেবে মাশরাফির বিষয়ে এমনটা ভাবছে বিসিবি। এক প্রশ্নের জবাবে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘একজন খেলোয়াড়কেও নিজের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করা এবং বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত।’
পাপন বলেন, ‘বোর্ড একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারে কীভাবে স্মরণীয় বিদায় আয়োজন করা যায় সে বিষয়ে। কিন্তু আমাদের দেশে খেলোয়াড়রা নিজেদের অবসর ইস্যুতে চিন্তা করার বিষয়ে অভ্যস্ত নয়। পরিস্থিতিটা সব সময় এমন যে, তারা চায় বোর্ড তাদের বাদ দেবে।’