খবর৭১ঃ
শেষ হলো ছুটি, এবার কাজের পালা। প্রিয়জনের সান্নিধ্যে ঈদের মধুময় কয়েকটি দিন কাটিয়ে রাজধানীমুখী কর্মজীবী মানুষ। তবে রাজধানীতে এখনো কর্মব্যস্ততা শুরু হয়নি। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা যেমন কম, তেমনি কম মানুষের চলাফেরাও। বুধবার থেকে সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরগুলো খোলা থাকলেও উপস্থিতি ছিল কম। রোববার পুরোদমে অফিস চলবে। ফলে অনেকেই ঝামেলা এড়াতে শুক্রবারই ঢাকায় ফিরছেন।
যারা আসতে শুরু করেছেন তাদের রাস্তায় কোনো ধরনের বেগ পোহাতে হচ্ছে না। এ দিকে এখনো ঢাকা ছেড়ে গ্রামের দিকে যাচ্ছেন অনেকেই। শুক্রবারও বিভিন্ন টার্মিনাল থেকে প্রচুর সংখ্যক যাত্রী ঢাকা ছেড়ে গেছেন। এদের কেউ কেউ যানজট, ভিড়সহ নানা ঝামেলার কারণে ঈদের আগে বাড়ি যাননি। তারা ঝামেলা এড়াতে ঈদের পরে বাড়ি যাচ্ছেন। আবার কেউ ঈদের দিনও কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকায় যেতে পারেননি।
রাজধানীর সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকায় ফেরা মানুষকে দেখা গেছে। তারা বলছেন, রাস্তায় কোনো ঝামেলা ছাড়াই তারা ঢাকায় ফিরতে পেরেছেন। তবে টার্মিনাল থেকে বাসায় ফিরতে যানবাহনের সঙ্কটে পড়েছেন তারা। বাস কাউন্টারগুলো থেকে জানা গেছে, শনিবার থেকে ঢাকায় ফেরার মানুষের চাপ বাড়বে। সে সময় রাস্তা এতটা ফাঁকা নাও থাকতে পারে।
ঈদের ছুটি শেষে গাবতলী বাস টার্মিনালে দূর–দূরান্ত থেকে ফিরছে নগরবাসী। মহাখালী বাস টার্মিনালেও একই চিত্র। এখানে ফিরছে ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, টাঙ্গাইল এলাকার মানুষ। এদিকে, নৌপথেও ঢাকা ফিরতে শুরু করা যাত্রীর সংখ্যা এখনও খুব বেশি নয়। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঈদের ছুটি শেষ করে ফিরছেন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।
সরেজমিনে কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা যায়, ঢাকায় ফিরে আসা প্রতিটি ট্রেনে ছিল যাত্রীদের ভিড়। তবে এ ভিড় গাদাগাদি নয়। ঈদ শেষে ঢাকায় নিরাপদে ফিরতে পেরে সবাই খুশি।
যাত্রীদের হয়রানি এড়াতে হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশের পাশাপাশি বাস টার্মিনাল ও মহাসড়কে রয়েছে র্যাবের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভিজিলেন্স টিমও।