খবর৭১ঃ রাশিয়ায় নৌ বাহিনীর একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে রকেট ইঞ্জিন বিস্ফোরণে পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ রাশিয়ার নিয়েন্সকায় একটি তরল রকেট ইঞ্জিনের পরীক্ষার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির নিউক্লিয়ার প্রতিষ্ঠান রস্তাকম। খবর বিবিসি’র।
তারা জানায়, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ রাশিয়ার নিয়েন্সাকা থেকে প্রায় ৪৭ কি.মি. বা ২৯ মাইল দূরে অবস্থিত সেভেরদ্ভিঙ্কে নৌ বাহিনীর একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে রকেট ইঞ্জিনের পরীক্ষা চালানো হচ্ছিলো। এ সময় হঠাৎ করেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দুইজন নিহত ও ছয় জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচ জনে দাঁড়িয়েছে। আর আহত বাকি তিন জনের শরীর গুরুতরভাবে পুড়ে গিয়েছে বলেও জানায় তারা।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে তরল রকেট ইঞ্জিনের চালিকা শক্তি হিসেবে ‘আইসোটোপ শক্তি উৎস’ নিয়ে পরীক্ষা চালানো হচ্ছিলো। এ পরীক্ষার সময়ই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ সময় প্রায় ৪০ মিনিটের জন্য ওই এলাকার তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিবেশে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেড়ে যায়। তবে ৪০ মিনিট পরই তা আবার স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরে আসে।
এর আগে, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, আরখানগেলস্ক অঞ্চলে একটি তরল জেট ইঞ্জিনের পরীক্ষা চালানোর সময় বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়। এতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ডেভেলপার কোম্পানির ছয় সদস্য আহত হন। নিহত হন দুই জন বিশেষজ্ঞ।
জানা যায়, বিস্ফোরণের পরপরই আরখানগেলস্ক ও সেভেরদ্ভিঙ্ক অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দারা তেজস্ক্রিয়তা থেকে রক্ষা পেতে মেডিকেল আয়োডিন কেনা শুরু করে। এর ফলে এই অঞ্চলের ফার্মেসিগুলোতে আয়োডিনের সংকট দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশটির নৌ-বাহিনীর যে প্রতিরক্ষা ঘাঁটিতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে সাধারণত ক্রুজ ও ব্যালাস্টিকসহ নৌ-বাহিনীর সব ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়ে থাকে।