খবর৭১ঃ পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে বেশকিছু প্রণোদনা দেয়া হয়েছে বাজেটে। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব করেন যে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয় করমুক্ত থাকবে। একইসঙ্গে বলা হয় যে, তালিকভুক্ত কোম্পানির যদি বছর শেষে ক্যাশ ডিভিডেন্ড না দিয়ে স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে তাহলে অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে।
ক্যাশ ডিভিডেন্ড বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগকারীরা শেয়ারে বিনিয়োগ করে ক্যাশ ডিভিডেন্ড আশা করে। কিন্তু কোম্পানিগুলো ক্যাশ ডিভিডেন্ড না দিয়ে স্টক দিচ্ছে। এতে বিনিয়োগকারীরা প্রত্যাশিত প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হন। যার প্রভাব পড়ে শেয়ারবাজারে। তাই কোম্পানিকে স্টক ডিভিডেন্ড প্রদান না করে ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদানে উত্সাহিত করার জন্য কোম্পানির স্টক ডিভিডেন্ডের ওপর ১৫ শতাংশ কর প্রদানের প্রস্তাব করছি।
মন্ত্রী আরো বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড না দিয়ে রিটেইনড আর্নিংস বা বিভিন্ন ধরনের রিজার্ভ হিসেবে রেখে দেয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এতে বিনিয়োগকারীরা ডিভিডেন্ড প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হন; যার প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়ে। কোনো কোম্পানির আয় বছরে রিটেইনড আর্নিংস, রিজার্ভ ইত্যাদির সমষ্টি যদি পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হয় তাহলে যতটুকু বেশি হবে তার ওপর কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে।
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের প্রণোদনার জন্য মন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের হাতে পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত ডিভিডেন্ড আয়ের করমুক্ত সীমা ২৫ হাজার থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।