ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে

0
1141
ডেঙ্গু মহামারির জন্য রাজধানীর অবকাঠামো নির্মাণের মহাযজ্ঞ দায়ী
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগী। ছবিঃ সংগৃহীত।

খবর৭১ঃ থামছে না ডেঙ্গুর ভয়াবহতা। প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। রাজধানীসহ সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ‘তিল ধারণের ঠাঁই’ নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০৬৫ জন। যা চলতি মৌসুমে একদিনের হিসাবে সর্বোচ্চ। এ সময় নতুন করে আরও সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

তাদের মধ্যে উপকর কমিশনারের ছেলে ও আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী পরিচালকের স্ত্রী আছেন। এ নিয়ে সরকারি হিসাবেই চলতি মৌসুমে (জানুয়ারি-৫ আগস্ট) ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৪৩৭ জন। আর মৃত্যুর সংখ্যা ১৮। কিন্তু বেসরকারি হিসাবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে আগস্টে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, তা বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। কারণ আগস্ট মাসের প্রথম পাঁচ দিনে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন ৯,০০৬ জন। যা চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে।

কারণ বর্তমানে থেমে থেমে যে বৃষ্টি হচ্ছে তা চলতি মাসে আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকলে আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে পারে ডেঙ্গু রোগী। তবে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশা নিধনে কার্যকর ওষুধ যদি যথাযথভাবে ছিটানো হয়, সেক্ষেত্রে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা অনেকাংশে কমে আসবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশব্যাপী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েই চলছে। রাজধানীসহ সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে জ্বরে আক্রান্তদের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। রক্ত পরীক্ষার ফল পেতে হাসপাতালে রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অপেক্ষায় থাকতে থাকতে রোগীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

হাসপাতালগুলোতে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টরা। ডেঙ্গু পরীক্ষায় অতিরিক্ত উৎসাহের কারণে পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কিটের সংকট দেখা দিয়েছে বাজারে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ডেঙ্গু পরীক্ষা না করাতে অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জ্বর হলে বা জ্বর জ্বর বোধ করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

পরীক্ষা করাতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শে করাতে হবে। যাতে যেসব রোগীর পরীক্ষা করানো জরুরি তাদের চিকিৎসার যেন ব্যাঘাত না ঘটে। এছাড়া একটানা চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে কর্মরত চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা যেন অসুস্থ হয়ে না পড়েন, সেজন্য হাসপাতালের মেডিসিন, নবজাতক ও শিশু বিভাগ ছাড়াও অন্যান্য বিভাগের চিকিৎসক ও নার্সদের পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে ডেঙ্গু রোগীদের সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা দিতে জেলা হাসপাতালগুলোকে ১০ লাখ টাকা এবং উপজেলা পর্যায়ে ২ লাখ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার জানান, চলতি বছর এ পর্যন্ত মোট ২৭ হাজার ৪৩৭ জন রোগী আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৯ হাজার ৭৬১ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

বর্তমানে ৭ হাজার ৬৫৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীর ৩৮টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৪ হাজার ৯৬২ জন। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ভর্তি আছেন ২ হাজার ৬৯৬ জন। এর আগে জুলাই মাসে সারা দেশে ১৬ হাজার ২২৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

সরকারি হিসাব মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে। তবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা এই হিসাবের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বলে বেসরকারি বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে।

কন্ট্রোল রুমের তথ্য মতে, রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগের অন্য জেলাগুলোতেই সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব জেলার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ২২১ জন। এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮০ জন, খুলনা বিভাগে ১৫০ জন, রাজশাহী বিভাগে ১১২ জন, বরিশাল বিভাগে ৯৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬১ জন, রংপুর বিভাগে ৪৭ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩৬ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

সাতজনের মৃত্যু : সোমবার ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৫ জুলাই রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যায় আয়কর ক্যাডারের উপকর কমিশনার চাঁদ সুলতানা চৌধুরানীর ছেলে ইরতিজা শাহাদ (প্রত্যয়)।

এখন নিজে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এদিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী পরিচালকের স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

রোববার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মেয়রদের উদ্দেশ করে এক মর্মস্পর্শী স্ট্যাটাস দিয়েছেন উপকর কমিশনার চাঁদ সুলতানা চৌধুরানী। এতে তিনি বলেন, ‘আমার মতে, প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারীর (উপকর কমিশনার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) মাধ্যমে গত অর্থবছরে রাষ্ট্র ৬৬৫ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করতে পেরেছে। আমি রাষ্ট্রের দেয়া গুরুদায়িত্ব পালন করেছি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে। কিন্তু মাননীয় মেয়র, রাষ্ট্র কি আমার বাচ্চার নিরাপত্তা দিতে পেরেছে? ডেঙ্গুজ্বরে আমি আমার প্রাণের অধিক প্রিয় একমাত্র ছেলেকে হারালাম! এখন আমিও ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ছয় দিন ধরে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছি!! আমার মেয়ের ২ বছর বয়সে একবার ডেঙ্গু হয়েছিল! আপনি কি নিশ্চয়তা দিতে পারেন আমার মেয়ের আর ডেঙ্গু হবে না! সদ্য ছোট ভাই হারানো আমার ছোট্ট মেয়ে তার মাকেও যখন হাসপাতালের বেডে দেখছে তখন তার মনের অবস্থা অনুধাবন করার অনুভূতি কি আল্লাহপাক আপনাকে দিয়েছেন? নাকি আমার এই লেখাটিও আপনার কাছে একটি গুজব!’

আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হকের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শারমিন আরা শাপলা (৩২) ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোর ৫টায় মারা গেছেন। তিনি স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় থাকতেন।

পরিবার সূত্র জানায়, শাপলা অন্তঃসত্ত্বা থাকায় তাকে জয়পুরহাটে বাবার বাড়িতে পাঠানো হয়। সেখানেই তার ডেঙ্গু রোগ শনাক্ত হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য রোববার তাকে শহীদ সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, শাপলা প্রচণ্ড জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রোববার দুপুর ১টায় হাসপাতালে ভর্তি হন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডেঙ্গু শনাক্ত করে বিকাল ৫টায় তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোর ৫টায় তিনি মারা যান।

সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, শারমিন আরা শাপলা ৩১ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

সোমবার সন্ধায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নকুল দাশ (৪৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার প্রতিবেশী পার্থ চক্রবর্তী জানান, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে সোমবার বিকাল ৫টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সন্ধা ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্কুল ছাত্রী অথৈ সাহার (১১) মৃত্যু হয়েছে। সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। অথৈই সাহা গত ৭ দিন যাবত জ্বরে ভুগছিল। প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসক ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে অথৈকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে ঢাকার ধানমণ্ডির আনোয়ারা প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে পাবনার পাঁচ মাস বয়সী শিশু নাইসা।

পারিবারিক সূত্র জানায়, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে শনিবার সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নাইসাকে। সোমবার ভোর ৪টার দিকে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এদিকে বাগেরহাটের শরণখোলায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত উত্তর তাফালবাড়ি গ্রামের সৌদি প্রবাসী ধলু মোল্লার স্ত্রী খাদিজা বেগমের (৪২) মৃত্যু হয়েছে।

তাকে প্রথমে খুলনা সিটি হাসপাতাল পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। মাদারীপুরের শিবচরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রিপন হাওলাদার (৩০) আরও একজন মারা গেছে। তিনি শিবচর উপজেলার সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচর গ্রামের হাবিবুর রহমান হাওলাদারের ছেলে।

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (টিএইচও) মোকাদ্দেস আলি জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিপন নামে এক রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। রিপন ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে শিবচরে এসেছিল। তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলা হলেও তিনি চিকিৎসা না নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। এরপর গত রাতে আবার হাসপাতালে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কিট রিএজেন্ট আমদানিতে শুল্ক কর অব্যাহতিঃ জনগণের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট, রিএজেন্ট এবং প্লাটিলেট ও প্লাজাম পরীক্ষার কিটের ওপর থেকে সব আমদানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর, আগাম কর এবং অগ্রিম আয়কর অব্যাহতি প্রদান করেছে।

এই সুবিধা আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে। একই সঙ্গে এসব পণ্যের ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর কর্তৃক অনুমোদিত পরিমাণ আমদানিতে এই সুবিধা কার্যকর হবে। আমদানিকৃত পণ্যসমূহ মানসম্মত কিনা তা ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর নিয়মিত মনিটরিং করবে।

বেসামাল সোহরাওয়ার্দীঃ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে মেঝেতে গাদাগাদি করে ডেঙ্গু রোগীরা চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের ওয়ার্ড, বারান্দা, নামাজের স্থান কোথাও পা ফেলার জায়গা নেই। রাজধানীতে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করায় হাসপাতালের শয্যা না পেয়ে এভাবেই চিকিৎসা নিচ্ছেন ডেঙ্গু রোগীরা।

রোগীর চাপ সামলাতে বেসামাল অবস্থা হাসপাতালের চিকিৎসক নার্সদের এরই মধ্যে এই হাসপাতালে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু ঘটেছে। হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ডেঙ্গু রোগীদের সব ধরনের চিকিৎসা ও সেবা প্রদান করা হচ্ছে। হাসপাতালের শয্যায় তুলনায় রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিক বেশি হলেও কাউকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে না।

মিটফোর্ড হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধঃ পুরান ঢাকার সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা প্রদান স্থান স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে শনিবার থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। পরীক্ষা কিট না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে জানা গেছে।

হাসপাতালটিতে রোববার পর্যন্ত ৫৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হন। যার মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। হাসপাতালটিতে জরুরি ভিত্তিতে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিট সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে সিনিয়র টেকনোলজিস্ট আবু বকর দেওয়ান। তিনি যুগান্তরকে বলেন, হাসপাতালে শনিবার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ হাজার রোগীর ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়েছে। এরপর কিট সংকটে পরীক্ষা সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here