সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বড় ভাই আজাদ তার ছেলেকে সাথে নিয়ে দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে কোপিয়ে ও লাঠি দিয়ে বেধরক পিটিয়ে আপন ছোট ভাই সাজ্জাদকে হাতে,শরীলের বিভিন্ন অংশে গুরুত্বর জখম করে আহত করে। খবর পেয়ে তাহিরপুর থানা ও বাদাঘাট ক্যাম্পের কর্মরত পুলিশ সদস্য,চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিগন গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রন করেন। এঘটনায় আহত হয়েছে পরিবারের বেশ কয়েকজন। আহত সাজ্জাদ হোসেন শাহ ভোরের কাগজ,সুনামকণ্ঠ পত্রিকার তাহিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি আর হাবিব সারোয়ার আজাদ যুগান্তর পত্রিকার তাহিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি। তারা উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্ধ গ্রামের মৃত হাজী বৈধ মিয়ার দুই ছেলে। এঘটনায় গুরুত্ব আহত সাজ্জাদকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে রের্ফাড করা হয়েছে।
তাহিরপুর থানা পুলিশ জানায়,র্দীঘ দিন ধরেই পরিবার ও নিজেদের আদিপাত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত শুক্রবার রাতে কথা কাটাকাটির এক প্রর্যায়ে দৈনিক যুগান্তর প্রত্রিকার তাহিরপুর প্রতিনিধি হাবিব সারোয়ার আজাদ তার ছেলে সিহাব সারোয়র শিপুকে সাথে নিয়ে দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে কোপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিঠিয়ে গুরুত্ব আহত করে সাজ্জাদকে। এসময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এগিয়ে আসলে তাদের উপরও চড়াও হয় আজাদ ও তার ছেলে শিপু এসময় পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যগন আহত হয়। পরে পুলিশ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগনের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এরপর সবার উপস্থিতিতে শালিসে বসে সিদ্ধান্ত হয় সাজ্জাদ এই ঘটনা গোপন রাখবে আর হাবিব সারোয়ার আজাদ তার বউ,ছেলে,মেয়েকে বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক একাধিক বিচারশালীসে অবস্থানকারী লোকজন এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এরপর সাজ্জাদকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাঃ সুমন বর্মন তার অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে রের্ফাড করা হয়। তিনি জানান,আহত সাজ্জাদের ডান হাত ও শরীলের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্ব আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা তা নোট করে রেখেছি।
স্থানীয় এলাকাবাসী শফিকুল ইসলাম,রফিকুল,আলম মিয়াসহ অনেকেই জানান,আজাদ নিজের স্বার্থের কারনে যে কোন কাজ করতে সে পিচপা হয়। তার বিরোদ্ধে কথা বলায় তার আপন ভাইকে তার ছেলেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিঠিয়ে গুরুত্বর আহত করে। শুধু তাই না তার বিরোদ্ধে কথা বলার কারনে নিরীহ সাংবাদিক মাইটিভি,মানবকণ্ঠ পত্রিকার সাবেক জেলা প্রতিনিধি মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়াকে ঘায়েল করার জন্য একটি পরিকল্পিত কথিত এসিড নিক্ষেপের মামলা দায়ের করে। সে সীমান্তের মদ,গাজা,হিরোয়িন,ইয়াবা ট্যালেটসহ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদাবাজি গ্রুপের গডফাদার। এছাড়াও উপজেলার চিহ্নিত ও আলোচিত প্রধানমন্ত্রীর পোষ্টার আগুনে পুরানো,হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি কালী মূতি ভাঙ্গা,সীমান্তের চাদাঁবাজী,ইয়াবা ট্যাবলেট,শিশু বলৎকার,সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীদের হুমকিসহ প্রায় ১০-১২বিভিন্ন মামলা ও বিভিন্ন দপ্তরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ ও থানায় জিডি এন্টি রয়েছে তার বিরোদ্ধে। সে সরকার ও প্রশাসন বিরোধী কাজ করলেও প্রশাসনের বিভিন্ন স্থরের কর্মকর্তাদের সাথে সুসম্পর্ক তাই যাচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছে।
শুধু তাই নয় তার বিরোদ্ধে কথা বলায় একাধিক বার সুনামগঞ্জ ১আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন,সাবেক এমপি আব্দুল মজিদ,এসপি বরকত উল্লাহ খান,সাংবাদিক পংকজদে,আল-হেলাল,মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,রাজু আহমেদ রমজান,আমিনুল ইসলাম,আলম সাব্বির,ওসি নন্দন কান্তি ধর,এসআই জালাল উদ্দিন,জামাল উদ্দিন,সাইদুর রহমান,এএসআই তপন,রেজাউর রহমানসহ অনেকের বিরোদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করেছে।
এই বিষয়ে আহত সাজ্জাদের বক্তব্য পাওয়া যায় নি। তবে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে একাধিক সূত্রে জানাযায়।
তাহিরপুর থানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ জানান,ঐদিন আমরা পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় লোকজন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। না হলে বড় ধরনের দূঘটনা ঘটত।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান-ঐ ঘটনার বিষয়ে এখনও লিখিত ভাবে কোন অভিযোগ থানায় আসে নি।