খবর৭১ঃ
চাঁদপুর মেঘনা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ২০০ মিটার ব্লক ধসে পুরাণ বাজার হরিসভা এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ওই এলাকার সেমি পাকা ও টিনের ১৫টি বসতঘর ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
হুমকির মুখে রয়েছে হরিসভা এলাকার ৪টি মন্দির ও চলাচলের সড়ক। হুমকির মুখে থাকা বহু বসত ঘর ভেঙে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ওই এলাকার বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভাঙন শুরু হয়। রাতেই পানি উন্নয়ন বোর্ড ঘটনাস্থলে বালি ভর্তি ৫০০ জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করে।
চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় জানান, ভাঙন শুরু হওয়ার পরেই আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছি। গত বছরও একই স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানটি রক্ষায় স্পেশাল বরাদ্দ দেন। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োজিত ঠিকাদার সঠিকভাবে কাজটি সম্পন্ন না করায় আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় ভাঙন অব্যাহত থাকলে আরো বসতিসহ হরিসভা, কালি, স্কন ও লোকনাথ মন্দির মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, রাতেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় ৫০০ জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে পুলিশ, দমকল বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, গত কয়েক বছরই একই স্থানে ভাঙন দেখা দিচ্ছে। পুরাণ বাজার এলাকার বাকী অংশ ভাল থাকলেও প্রায় ২০০ মিটার এলাকায় প্রতিবছর সমস্যা হচ্ছে। আমরা তাৎক্ষনিক জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করছি। পরবর্তীতে ব্লক পেলে স্থায়ী বাঁধ দেয়া হবে।