কাজী শাহ্ আলম
হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি- সম্প্রতি বন্যায় প্লাবিত হয়ে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বাইপাস ও আঞ্চলিক সড়কে প্রায় ৩০টি স্থানে ভেঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন। কমেছে স্কুল গুলোতে শিক্ষার্থী উপস্থিতি। তাই স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁসের সাঁকো নির্মান করছে এলাকাবাসী।
হাতীবান্ধা উপজেলা শহর হইতে ধুবনী, গড্ডিমারী হয়ে বড়খাতা যাওয়ার একমাত্র বাইপাস সড়কটি বন্যায় প্লাবিত হয়ে গড্ডিমারী মেডিকেল মোড় এলাকায় ভেঙ্গে যাওয়ায় ,স্কুল, কলেজ পড়–য়া ছাত্র/ছাত্রী সহ এলাকাবাসীর চলাচলে দূর্ভোগ চরমে। কিন্তু প্রশাসনের নেই কোন জরুরী মেরামতের উদ্যোগ। তাই সাবেক ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ও গড্ডিমারী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের নেতৃতে একটি বাঁসের সাঁকো নির্মান করছে এলাকাবাসী।
সোমবার স্থানীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি বন্যায় এলাকার আঞ্চলিক ও বাইপাস সড়ক গুলোর বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে গেছে। এবং ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তা গুলো আজও পর্যন্ত মেরামত না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে পারছে না। গড্ডিমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী সুমি আক্তার এ প্রতিবেদক কে বলেন, বাড়ী থেকে স্কুলে আসতে অনেক কষ্ট করে কোমর পানির উদ্ধে পার হয়ে আসতে হয়। রাস্তা জরুরী ভাবে মেরামত না হলে আমাদের লেখাপড়ার বিগ্নিত ঘটবে। অপর দিকে ফাতেমা আক্তার সহ একাধীক শিক্ষার্থী জানায়, আমাদেরকে কয়েকটি স্থানে পানি পার হয়ে স্কুলে আসতে হয়। রাস্তা ভাঙ্গা মেরামত না হওয়ার কারনে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসতে পারছেনা।
এ বিষয়ে গড্ডিমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, এলাকার রাস্তাগুলো বিভিন্ন স্থানে বন্যার পানিতে ভেঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে গেছে, সে কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে পারছে না এবং বন্যার কারনে অত্র বিদ্যালয়টি প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাই সাবেক ইউপি সদস্য জাকির হোসেনকে সাথে নিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গড্ডিমারী মেডিকেল মোড় এলাকায় বাইপাস সড়কটিতে একটি বাঁসের সাঁকো নির্মান করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান বলেন,এ ইউনিয়নের বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে প্রায় ৮টি স্থানে বন্যার পানিতে ভেঙ্গে গেছে। আমি কৃর্তপক্ষকে অবগত করেছি কিন্তু কোন বরাদ্দ আসছে না।
ছবি ক্যাপশন-লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার গড্ডিমারী মেডিকেল মোড় এলাকায় বাইপাস সড়কটিতে স্বেচ্ছাশ্রমে একটি বাঁসের সাঁকো নির্মান করছে গ্রামবাসী।