খবর৭১ঃ
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯১ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় লুফে নিল শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার বিধ্বংসী বোলিংয়ের মুখে ২২৩ রান তুলতেই সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেন লাসিথ মালিঙ্গা।
শুক্রবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক শ্রীলংকা। শুরুতেই দলীয় ১০ রানের মাথায় আভিশকা ফার্নান্দোকে হারিয়ে বসে শ্রীলঙ্কা। তবে শুরুর সেই বিপর্যয় সহজেই কাটিয়ে উঠে লঙ্কানরা। প্রথম উইকেট পতনের পর শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্ন ও কুসল পেরেরা গড়ে তোলেন ৯৭ রানের জুটি।
এই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার বলে মুস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন করুনারত্নে। ফিরে যাওয়ার আগে তিনি করেন ৩৭ বলে ৩৬ রান।
অধিনায়কের বিদায়ের পর শ্রীলঙ্কা আবারো গড়ে তোলে বড় রানের জুটি। এই জুটি গড়েন পেরেরা ও মেন্ডিস। ৯৯ বলে ব্যক্তিগত ১১১ রান করে সৌম্য সরকারের বলে মুস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দেন পেরেরা। আর হাফ সেঞ্চুরি করার আগেই রবেলের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন মেন্ডিস। ৪৯ বলে তিনি ব্যক্তিগত ৪৩ রান করেন।
এরপর লাহিরু থিরিমান্নকে সাজঘরে পাঠান মুস্তাফিজুর রহমান। তার ক্যাচটি ধরেন সৌম্য। ফিরার আগে থিরিমান্ন করেন ২৫ রান। শ্রীলঙ্কার দলে শেষ দিকে নেমে বিপদজনক উঠা ব্যাটসম্যান হচ্ছেন থিসারা পেরেরা। টাইগারদের উপর চরাও হওয়ার আগে এই ব্যাটসম্যানকে ফেরান শফিউল মাত্র ২ রান করে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দেন থিসারা পেরেরা।
শেষের দিকে এসে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ফিফটি করতে দেননি মুস্তাফিজুর রহমান। এই পেসারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে বিদায় ৫২ বলে ৪৮ করে বিদায় নেন। শেষ ওভারের প্রথম বলে শফিউলকে চার মেরেছিলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। পরের বলেই শফিউল বিদায় করে দিয়েছেন এই ব্যাটসম্যানকে। অপরাজিত ছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা ও নুয়ান প্রদিপ।
২১ মাস পর দলে ফিরেই ৩ উইকেটের দেখা পেলেন শফিউল ইসলাম। এজন্য তার খরচ হয় ৬২ রান।
এ লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে যায় টাইগাররা। লাসিথ মালিঙ্গার দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে পরিষ্কার বোল্ড হন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তিনি ফিরে যাওয়ার পর নুয়ান প্রদীপের বলে এলবিডাব্লিউ হন মিঠুন। ২১ বলে ১০ রান করে আউট হন তিনি।
বাংলাদেশ শিবিরে আবারো আঘাত হানেন মালিঙ্গা। তার ইয়র্কারে ২২ বলে ১৫ রান করে বোল্ড হন সৌম্য। দ্রুত রান তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশের আরেকটি উইকেটের পতন হয়। এবার সাজঘরের পথ ধরেন মাহমুদউল্লাহ। ১০ বলে ৩ রান করে ক্যাচ দেন।
এরপর ৬০ রান করে সাজঘরে ফিরেন সাব্বির রহমান। মোসাদ্দেক ১২ রান করে রান আউট হন। এরপর মেহেদি হাসান ৫ বল খেলে ২ রান করে ক্যাচ ভাসিয়ে সাজঘরে ফিরেন। একাই লড়তে থাকা মুশফিকুর রহমান করেন ৬৭ রান। শেষমেশ বাংলাদেশের রানের চাকা গিয়ে থামে ২২৩ রান।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩ টি করে উইকেট পান নুয়ান প্রদিপ ও লাসিথ মালিঙ্গা।