খবর৭১ঃ কুসল পেরেরা ও মেন্ডিসের ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে বাংলাদেশকে বড় টার্গেট ছুড়ে দিল শ্রীলঙ্কা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩১৪ রান করে লঙ্কানরা। ফলে টাইগারদের জিততে হলে করতে হবে ৩১৫ রান।
এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। কলম্বোতে বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় খেলা শুরু হয়।
শুরুতেই দলীয় ১০ রানের মাথায় আভিশকা ফার্নান্দোকে হারিয়ে বসে শ্রীলঙ্কা। তবে শুরুর সেই বিপর্যয় সহজেই কাটিয়ে উঠে লঙ্কানরা। প্রথম উইকেট পতনের পর শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্ন ও কুসল পেরেরা গড়ে তোলেন ৯৭ রানের জুটি।
এই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার বলে মুস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন করুনারত্নে। ফিরে যাওয়ার আগে তিনি করেন ৩৭ বলে ৩৬ রান।
অধিনায়কের বিদায়ের পর শ্রীলঙ্কা আবারো গড়ে তোলে বড় রানের জুটি। এই জুটি গড়েন পেরেরা ও মেন্ডিস। ৯৯ বলে ব্যক্তিগত ১১১ রান করে সৌম্য সরকারের বলে মুস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দেন পেরেরা। আর হাফ সেঞ্চুরি করার আগেই রবেলের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন মেন্ডিস। ৪৯ বলে তিনি ব্যক্তিগত ৪৩ রান করেন।
এরপর লাহিরু থিরিমান্নকে সাজঘরে পাঠান মুস্তাফিজুর রহমান। তার ক্যাচটি ধরেন সৌম্য। ফিরার আগে থিরিমান্ন করেন ২৫ রান। শ্রীলঙ্কার দলে শেষ দিকে নেমে বিপদজনক উঠা ব্যাটসম্যান হচ্ছেন থিসারা পেরেরা। টাইগারদের উপর চরাও হওয়ার আগে এই ব্যাটসম্যানকে ফেরান শফিউল মাত্র ২ রান করে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দেন থিসারা পেরেরা।
শেষের দিকে এসে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ফিফটি করতে দেননি মুস্তাফিজুর রহমান। এই পেসারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে বিদায় ৫২ বলে ৪৮ করে বিদায় নেন। শেষ ওভারের প্রথম বলে শফিউলকে চার মেরেছিলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। পরের বলেই শফিউল বিদায় করে দিয়েছেন এই ব্যাটসম্যানকে। অপরাজিত ছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা ও নুয়ান প্রদিপ।
২১ মাস পর দলে ফিরেই ৩ উইকেটের দেখা পেলেন শফিউল ইসলাম। এজন্য তার খরচ হয় ৬২ রান।