খবর৭১ঃ
মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর থেকেঃ সৈয়দপুরে এক গৃহকর্মীকে বিয়ের মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও কৌশলে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত বুধবার রাতে ধর্ষণের শিকার গৃহকর্মী বাদী হয়ে গৃহকর্তা আরমান ওরফে ভান্ডারীর বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। সৈয়দপুর থানা পুলিশ বুধবার রাতেই ধর্ষক আরমান ওরফে ভান্ডারীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মো আরমান ওরফে ভান্ডারী (৩৮) শহরের বাঁশবাড়ী হানিফ মোড় এলাকার সাগিরের ছেলে। আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। থানায় দায়ের করা মামলায় জানা যায়, শহরের বাঁশবাড়ী ক্যাম্পের কামরুদ্দিন ওরফে চেয়ারম্যানের মেয়ে দুলালী আক্তার ওরফে দুলালী (৩২)।
গৃহবধূ দুলালী স্বামী আরমান হোসেন আক্তারীর খারাপ আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে ৬/৭ মাস আগে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এরপর তিনি শহরের সাহেবপাড়া তেঁতুলগাছ মোড় এলাকায় বাড়ি ভাড়ায় নিয়ে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে বাঁশবাড়ী হানিফ মোড় এলাকার আরমান ওরফে ভান্ডারীর বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ নেয়। সেখানে কাজ করার সুবাদে আরমান ওরফে ভান্ডারী গৃহকর্মী দুলালীকে বিয়ের মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে করে। এ অবস্থায় গৃহবধূ দুলালী গর্ভবর্তী হয়ে পড়লে গত ২২ জুলাই দুলালীকে কৌশলে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ায়।
এর এক পর্যায়ে দুলালী তলপেটের প্রচন্ড ব্যথায় শহরের গার্ডপাড়ার একটি বাড়িতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। সেখানে তাঁর অবস্থান অবনতি ঘটলে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ফিরে এলে দুলালী আক্তার ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে গৃহকর্তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। সৈয়দপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শাহজাহান পাশা ধর্ষক গৃহকর্তা আরমান ভান্ডারীকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।