খবর৭১ঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন থেকে ইজারা দেওয়া নির্ধারিত জায়গায় পশুর হাট বসাতে হবে। রাস্তায় পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না। এছাড়া কোরবানির পশুর চামড়াও ঢাকার বাইরে যেতে দেয়া হবে না।
আজ সোমবার ডিএমপির সদর দপ্তরে আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকায় কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদ উপলক্ষে রাজধানীতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। প্রত্যেকটি হাটে থাকবে পুলিশের কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার। চামড়া কেনাবেচা ও পাচার রোধে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মানি এস্কর্ট ও জাল নোট শনাক্তকরণেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নগরীর বিপণী বিতানগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলওয়ে স্টেশন কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার থাকবে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমাদের সবার সাথে সমন্বয় করে একটি সুন্দর কোরবানির পশুর হাটের ব্যবস্থা করতে হবে। ঢাকা শহরে অনুমোদিত পশুহাটে থাকবে পুলিশের কঠোর নজরদারি। পশুবাহি ট্রাক যেখানে যেতে চায় তাকে সেখানে যেতে দিতে হবে। কোন অবস্থায় তাকে বাধা দেয়া যাবে না।
সমন্বয় সভায় ডিএমপি ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ গোয়েন্দা সংস্থা ও সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, দোকান মালিক সমিতি, হাট ইজারাদার, চামড়া ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর ঈদুল আজহায় ঢাকা মহানগরে অনুমোদিত পশুর হাট থাকবে মোট ২৭টি। যার মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৫টি ও উত্তর সিটি করপোরেশনে রয়েছে ১১টি পশুর হাট এবং ক্যান্টমেন্ট বোর্ডের অনুমোদনে ১টি পশুর হাট থাকবে।