খবর৭১ঃ
রাব্বুল ইসলাম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ গলাই ওড়না পেচিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় তামান্না খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। তবে এটা আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত হত্যা বলে নিহতের স্বজনরা দাবী করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে উপজেলার ত্রিবেনী ইউনিয়নের আনন্দনগর গ্রামে। জানা যায়, আনন্দনগর গ্রামের মকছেদ শেখের ছেলে বকুল শেখের সাথে গত ৭ বছর পূর্বে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সোনাদহ গ্রামের নাসির শেখের মেয়ে তামান্না খাতুনের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের তানভীর নামে ৫ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ছেলেকে নিয়ে তাদের সংসার ভালই চলছিলো। কিন্তু হঠাৎ গত ৬ মাস পূর্বে বকুল শেখ প্রথম স্ত্রী তামান্নার বিনা অনুমতিতে আবারো বিয়ে করে। ছোট বউকে নিয়ে বকুল ঢাকাতে বসবাস শুরু করে। সেই থেকেই তাদের সংসার জীবনে কলহের সৃষ্টি হতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে বকুল ঢাকা থেকে বাড়ীতে আসলে রবিবার রাতে বড় স্ত্রী তামান্নার সাথে বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এর কিছুক্ষণ বাদে গলাই ওড়না পেচানো অবস্থায় ঘরের মধ্যে ঝুলতে দেখে তামান্নাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার ও আশপাশ এলাকার লোকজন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এদিকে নিহত তামান্নার বাবা দেশের বাইরে থাকায় সোনাদহ গ্রামের চাচাতো ভাই জামাল শেখ, চাচী সোনালী খাতুন ও মুন্নি খাতুন আনন্দনগর গ্রামে নিহত তামান্নার মৃতদেহ দেখতে আসে। এসময় তারা অভিযোগ করে বলেন, তামান্না খুবই নরম স্বভাবের মেয়ে ছিলো। তার স্বামী বকুল স্ত্রী সস্তান রেখে বিনা অনুমতিতে দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসারে অশান্তি বাধায়। বকুল ও তার বাড়ীর লোকজন মিলে তামান্নাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এখন ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারা আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে। রামচন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রবিউল ইসলাম জানান, নিহত গৃহবধূ তামান্নার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে এটা হত্যা, নাকি আত্মহত্যা?